ডেস্ক রিপোর্টঃ
দাপুটে জয় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসর শুরু করলো মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার্স। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে তারা। মিরপুরে এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে সিলেটের পেসারদের তোপের মুখে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৮৯ রানে থামে বন্দর নগরীর দলটি৷ জবাবে ব্যাট করতে নামা সিলেট হারায় মাত্র দুইটি উইকেট। নাজমুল শান্ত-জাকির হাসানদের ব্যাটে চড়ে সহজেই জয় তুলে নেয় আসরের নবাগত দলটি।
লো স্কোরিং ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সের ছিল না রানের কোন তাড়া। তবে ছোট টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার কলিন অ্যাকারম্যানের উইকেট হারায় দলটি। মৃত্যুঞ্জয়ের শিকার হয়ে ফিরেন ১ রান করে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন নাজমুল শান্ত ও জাকির হাসান।
শান্ত একপাশে আগলে তুলতে থাকেন রান, অন্যপ্রান্তে জাকির খানিকটা আগ্রাসী ব্যাটিংই করেন। তাতে অবশ্য বড় জয়ের পথটা সুগম হয়ে যায় সিলেটের। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে শান্ত-জাকির মিলে গড়েন অবিচ্ছিন্ন পঞ্চাশোর্ধ রানের জোট। দল যখন জয়ের দারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ঠিক তখনই উইকেট দিয়ে আসেন জাকির।
পুষ্পাকুমারের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ার আগে জাকির খেলেন ২১ বলে ২৭ রানের ইনিংস। এরপর অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে বাকি কাজটা সারেন নাজমুল শান্ত। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট ও ৪৫ বল হাতে রেখেই দাপুটে জয় তুলে নেয় সিলেট। ৩ চার ও ১ ছক্কায় সিলেটের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন নাজমুল শান্ত।
এর আগে ব্যাট করতে নামা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, সিলেটের পেসারদের তোপের মুখে পড়ে। তাতেই দলীয় পঞ্চাশ পার করার আগে দলটি হারায় ৫ উইকেট। সিলেটের বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে এদিন শতরানের গণ্ডি ও টপকাতে পারেনি চট্টগ্রাম। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ৮৯ রানের থামে বন্দর নগরীর ইনিংস।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৫ রান আসে আফিফ হোসেনের ব্যাট থেকে। এছাড়া আল-আমিন করেন ১৮ রান। সিলেটের পক্ষে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ১৪ রানে ৪ উইকেট নেন পেসার রেজাউর রহমান রাজা। ৭ রান খরচায় মোহাম্মদ আমির নেন ২ উইকেট।
Leave a Reply