কুমিল্লা প্রতিনিধি:-
শীতকালীন শাক-সবজি চাষে ব্যস্ত কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার কৃষকেরা। ইতিমধ্যে জেলার বাজারগুলোতে উঠতে শুরু করেছে শীতকালীন সবজি। তবে বাজারে শাক-সবজির দাম ভালো পাওয়ায় খুশি কৃষকেরা। ফলে চড়া দামে চারা কিনতে হলেও বেশি দাম পাওয়ার আশায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি রবি মৌসুমে উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৬৫০ হেক্টর জমিতে টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, পালংশাক, বেগুন, শিম, বরবটিসহ বিভিন্ন শাক-সবজির আবাদ হয়েছে।
উপজেলার মালিগাঁও, নুরপুর, বুরবুড়িয়া, চাঁপাতলি, খোববাড়িয়া, কলাকোপা ও টামটা গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকেরা শীতের সবজি ক্ষেতে কেউ আগাছা পরিষ্কার করছেন, কেউ কীটনাশক দিচ্ছেন। বেড়ে উঠছে শাক-সবজির চারা। অনেকেই ইতিমধ্যে মুলা, মুলা শাক, লাউ ও লালশাক বিক্রি শুরু করেছেন।
চাঁপাতলী গ্রামের বাসিন্দা কৃষক রমজান আলী বাসসকে বলেন, গত বছর ৪ হাজার ফুলকপির চারা কিনেছি ১ হাজার ৪০০ টাকায়। এ বছর এক হাজার চারার দাম ২ হাজার টাকা। ৪ হাজার চারা কিনেছি ৮ হাজার টাকা দিয়ে। রমজান আলী আরও বলেন, প্রতিবছর তিন-চার কানি জমিতে সবজি চাষ করতাম। এ বছর সার ও বীজের দাম কিছুটা বেশি হওয়ায় ৩১ শতক জমিতে ফুলকপি চাষ করেছি। তবে বাজারে এ বছর সবজির দামও অনেক ভালো। আশা করি চাষাবাদের খরচ উঠবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ বিপুল হোসেন বাসসকে বলেন, এ বছর শীতের শাকসবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে টমেটো ১২০ হেক্টর, লাউ ৭০ হেক্টর, লালশাক ৫০ হেক্টর, মুলা ৩৫ হেক্টর, বেগুন ১৫ হেক্টর ও শিম ৭০ হেক্টর। এ ছাড়া ১৪ হাজার ৭ শত ৬০ হেক্টর জমিতে অন্যান্য শাকসবজিসহ বিভিন্ন ফসলাদী আবাদ করা হয়েছে। আমরা মাঠ পর্যায়ে শাক-সবজি চাষের ওপর কৃষকদের পরামর্শসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করে আসছি। যাঁরা বসতবাড়িতে শাক-সবজি চাষ করেন, তাঁদের আমরা সার, বীজসহ আনুষঙ্গিক সহযোগিতা দিচ্ছি।