নিজস্ব প্রতিবেদক:-
নতুন করে দাম বেড়েছে আদা-রসুনের। এ ছাড়া আবারও বেড়েছে ডিমের দাম। এদিকে চালের দামে এখনও তেমন স্বস্তি নেই। তবে ভারত থেকে আমদানির খবরে কিছুটা কমেছে চিনির দর। ব্যবসায়ীরা প্রতি ডজন ফার্মের ডিম ১৩০ টাকা দামে বিক্রি করছেন।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) রাজধানীর কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এসব চিত্র।
ডিম বিক্রেতা মাহফুজ রহমান বলেন, পাইকারি বাজারে ডিম নেই। সে কারণেই এখন প্রতি ডজনে ১৫ টাকা বাড়তি বিক্রি করতে হচ্ছে। গত সপ্তাহেও ডিমের দাম ১১৫ থেকে ১২০ টাকা ডজন ছিল। তিনি আরও বলেন, চাহিদামতো ডিম পাওয়া যাচ্ছে না। শীতের কারণে ডিমের চাহিদা বাড়ায় এ পরিস্থিতি বলে জানিয়েছে পাইকাররা।
এদিকে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে দেশি মুরগি ও হাঁসের ডিমেও। প্রতি হালি হাঁসের ডিম এখন ৭৫ টাকা, যা পাঁচ টাকা বেশি। একইভাবে দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়।
এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। তবে প্রতি কেজি ৭০০ টাকায় অপরিবর্তিত রয়েছে গরুর মাংসের দাম।
তথ্য বলছে, সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে আদা-রসুনের দাম। বাজারে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, যা ১২০ থেকে ১৪০ টাকার মধ্যে ছিল। এ ছাড়া ৮০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে থাকা রসুনের দাম এখন ১২০ থেকে ১৫০ টাকা দরে উঠেছে।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) বলছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে রসুনের দাম ২০ শতাংশ এবং আদার দাম ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
এদিকে বাজারে কিছুটা কমেছে চিনির দাম। আগে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হওয়া চিনি এখন খুচরা বাজারে ১০৭ থেকে ১১৫ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। যদিও সরকার-নির্ধারিত দাম সর্বোচ্চ ১০৭ টাকা, যা দুই মাস আগে নির্ধারণ করা হলেও এত দিন সে দামে চিনি পাওয়া যায়নি।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এখন বাজারে গুটি স্বর্ণা জাতের চালের কেজি ৪৮ থেকে ৫২ টাকা। পায়জাম ও বিআর-২৮ জাতের মাঝারি আকারের চালের কেজি কেনা যাবে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা দরে। তবে চিকন বা মিনিকেট চালের দাম কমেনি। এ মানের চাল এখনও ৭২ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে শীতের সবজির ভরপুর সরবরাহ থাকায় সেগুলোর দাম কম। দুই-তিনটা ছাড়া বেশির ভাগ সবজির দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিশেষ করে সিম, শালগম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পেঁপে, মুলা ও নতুন আলু কেনা যাচ্ছে এ দামে। অন্যদিকে সরবরাহ বাড়ায় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে।
Leave a Reply