ডেস্ক রিপোর্ট:-
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে আরও চার মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাত থেকে শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৭টা পর্যন্ত বার্ধ্যক্যজনিত কারণে তাদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ইজতেমার প্রথম পর্বে মোট সাত জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটায় সন্ধ্যায় খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার মলমলিয়া গ্রামের মৃত মোবারক হোসেন খানের ছেলে মোফাজ্জল হোসেন খান (৭০), ভোর ৪টায় ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার হাজী মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ হবি (৬৮), ভোর ৫টায় নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার মাছিমপুর গ্রামের মৃত রহমত উল্লাহর ছেলে হাবিবুর রহমান হবি (৭০) এবং সকাল সাড়ে ৬টায় চট্টগ্রাম সদর থানার রাউজান গ্রামের আব্দুল রশিদের ছেলে আব্দুল রাজ্জাক (৭০) মৃত্যুবরন করেন। তারা প্রত্যেকেই বার্ধ্যক্যজনিত রোগে ভোগছিলেন। শনিবার ফজরের নামাজের পর ইজতেমা ময়দানে তাদের জানাজা সম্পন্ন হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুরের হেমুবটে পাড়া গ্রামের নুরুল হক (৬৩), গাজীপুর মেট্রো সদর থানার ভুরুলিয়া এলাকার আবু তৈয়ব ওরফে আবু তালেব (৯০) এবং শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার মধ্য কামারপাড়া গ্রামের আক্কাস আলী সিকদার (৫০) ইজতেমা ময়দানে মারা যান।
বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের দ্বিতীয় দিন শনিবারও তুরাগ নদীর তীরে মুসল্লিদের ঢল অব্যাহত রয়েছে। আজ বাদ ফজর থেকে ইজতেমা মাঠে আখলাক, ঈমান ও কোরআন-হাদিসের আলোকে বয়ান চলছে। দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা আলেমরা বিভিন্ন বিষয়ে বয়ান করছেন। ইবাদত-বয়ানে মশগুল হয়ে রয়েছেন মুসল্লিরা।
ইজতেমা আয়োজক কমিটির মুরুব্বি প্রকৌশলী মাহফুজ জানান, প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দিনের শুরুতে বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা খোরশিদুল হক। সকালের বয়ানে বলা হয়, পরকালের চিরস্থায়ী সুখ শান্তির জন্য আমাদের প্রত্যেককে দুনিয়াতে জীবিত থাকা অবস্থায় দ্বীনের দাওয়াতের কাজে জানমাল দিয়ে মেহনত করতে হবে। ঈমান আমলের মেহনত ছাড়া কেউ হাশরের ময়দানে কামিয়াব হতে পারবে না। দাওয়াতের মেহনত হলো নবুওয়াতি মেহনত। খুলুসিয়াত ও আজমতের সঙ্গে যারা মেহনত করবে তাদের যেকোনও আমলের ফজিলত বহুগুণ বেড়ে যায়।
Leave a Reply