মিজানুর রহমান:- সটাফ রিপোর্টারঃ-
খুলনাঞ্চল চিংড়ির জন্য খুবই বিখ্যাত। জিআই পণ্য চিংড়ি বাংলাদেশের হোয়াইট গোল্ড হিসেবে বিশ্বে পরিচিত। খুলনা হতে চিংড়ি দেশের নানা প্রান্তে সরবরাহ করা হয় এবং বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা অতিশয় মুনাফার লোভে মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অপদ্রব্য পুশ করে চিংড়ির ওজন বৃদ্ধি করে আসছে ও ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে চিংড়ির রং আকর্ষনীয় করছে।
এরই ধারাবহিকতায় ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখ আনুমানিক ২৩.৩০ ঘটিকা হতে ১৫ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখ আনুমানিক ০৪.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত র্যাব-৬, স্পেশাল কোম্পানি খুলনার একটি আভিযানিক দল সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, রুপসা, খুলনার সমন্বয়ে খুলনা জেলার রুপসা থানা এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করাকালীন চিংড়ি মাছে অপদ্রব্য পুশ করে মৎস্য ও মৎস্য পণ্য নিয়ন্ত্রণ (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ১৯৯৭ (সংশোধিত বিধিমালা-২০০৮) এর বিধি ৪(৪) লংঘন করায় মেসার্স রুপালী ফিস এর মালিক রাজুকে ৩০,০০০/-(ত্রিশ হাজার) টাকা। মেসার্স অর্পণ বিশ্বাস এর মালিক ভজন বিশ্বাসকে ২৪,০০০/-(চব্বিশ হাজার) টাকা এবং শ্যামল দাসকে ৩০,০০০/-(ত্রিশ হাজার)টাকা, সর্বমোট ৮৪,০০০/-(চুরাশি হাজার) টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় অপদ্রব্য (জেলী) পুশকৃত ২৪ মন চিংড়ি জব্দ করা হয়।
জব্দকরা অপদ্রব্য পুশকৃত চিংড়ি মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয়েছে এবং জরিমানার অর্থ সংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তিরা তাৎক্ষনিক প্রদান করায় বিধি মোতাবেক সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়েছে।