আঃ আলিম:-ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ-
কৃতি হলুদের দুয়ার উন্মুক্ত করে দিয়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার মাঠের পর মাঠ। খেতের পর খেত সরিষা আর সরিষা। হলদে সাজের সমাহার ইঙ্গিত করছে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,বিভিন্ন রংগের প্রজাপতির দল ছুটে বেড়াচ্ছে ফুলে ফুলে মৌমাছির ভনভনানিতে মুখর সরিষার বিস্তৃত কৃষি মাঠ।
ফুল থেকে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত হাজারো মৌমাছির দল। এদিকে সরিষার ভালো ফলনে কৃষকদের মুখেও সোনা রাঙানো হাসি।
উপজেলার লেহেম্বা, হোসেনগাঁও, রাতোর, নন্দুয়ার, ধর্মগড়, বাচোর,নেকমরদ
কাশিপুর ইউনিয়নে বিস্তীর্ণ মাঠে এখন সরিষার হলুদ রঙের ফুলের সমারোহ। যেন হলুদ রঙের সুষমা শোভা পাচ্ছে দিকে দিকে। গুনগুন শব্দে মধুলোভী মৌমাছিরা এখন এক ফুল থেকে অন্য ফুলে বসে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
চলতি রবিশস্য মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং সরিষাখেতে রোগবালাই কম হওয়ায় সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষক ও কৃষি বিভাগ।
উপজেলার নেকমরদ গ্রামের সরিষাচাষি আব্দুল মতিন জানান, তিনি এ বছর ৫ বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছেন।
গাছ ভালো হওয়ায় ভালো ফলনও আশা করছেন।একই গ্রামের সরিষাচাষি জগদিস রায় বলেন, গত বছর সরিষার চাষ না করলেও তিনি এ বছর চাষ করেছেন।
কারণ, বাজারে ভোজ্য তেলের দাম বেশি। তাই তিনি এবার ৩ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। প্রতিটি ইউনিয়নের কৃষকদের আশা এবারে সরিষার বাম্পার ফলন হবে ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ জানান, গত মৌসুমে সরিষার অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে।
কিন্তু চলতি মৌসুমে উপজেলায় এবার ৬ হাজার ৫০+ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আর লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে ৯ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ চলতি মৌসুমে গত বছরের চেয়ে ১২৮০ হেক্টর জমিতে সরিষা বেশি চাষ হয়েছে। গতবারের চেয়ে এইবার ৯৩০ হেক্টর বেশি আবাদ হয়েছে। আশা করা যায় ৯৮০০ মেট্রিক টন সরিষা কৃষক ঘরে তুলবে।
এছাড়াও ঠাকুরগাঁও জেলার
পাঁচ উপজেলায়, সদর উপজেলা, পীরগঞ্জ, রাণীশংকৈল,হরিপুর,বালিয়াডাঙ্গীসহ বিভিন্ন এলাকায় সরিষার আবার ব্যাপক পরিমাণ । তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে কৃষক সরিষার আবাদের দিকে ঝুঁকে পড়েছ। য়ার কারণ রাণীশংকৈলে উপজেলার দিকে তাকালেই বুঝা যায় কি পরিমাণ সরিষার আবাদ হয়েছে।