মেছবাহুল আলম:-
ভূরুঙ্গামারী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ-
এক রাশ স্বপ্ন নিয়ে ধানের বীজতলা তৈরি করে কৃষক। বীজতলা থেকে চাষ যোগ্য জমিতে রোপন। তার পর তিলেতিলে গরে তোলে মাঠ ভড়া ধান। এবার তীব্র শীতে ও ঘনো কুয়াশায় বোরো বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার কৃষক। দিনের পর দিন পর্যাপ্ত রোদ না পাওয়া ও প্রচন্ড ঠান্ডায় আসন্ন ইরি-বোরো মৌসুমের বীজতলা কোল্ডডিজিজে আক্রান্ত হচ্ছে। এতে অনেক কৃষকের বীজতলা হলদে ফ্যাকাসে হয়ে উঠছে। ফলে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে চারা নিয়ে উপজেলার কৃষকদের মাঝে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের দেয়া তথ্যে জানাযায়, উপজেলায় ১০টি ইউনিয়নের চলতি মৌসুমে ১৬ হাজার ৪০৫ হেক্টর জমিতে ইরিবোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। এজন্য ৮২০ হেক্টর জমিতে বোরে বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। অর্জিত হয়েছে মোট ৮৯২ হেক্টর বোরো বীজতলা।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও কৃষকদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, প্রথম দিকে আবহাওয়া ভালো থাকায় বীজতলা গুলো বেশ সবুজ সতেজ হয়ে উঠেছিল। কিন্ত গত দুই সপ্তাহ থেকে অব্যাহত ভাবে পড়া ঘন কুয়াশা ও প্রচন্ড ঠান্ডায় ইতিমধ্যে অনেক বীজতলা হলদে ফ্যাকাসে হয়ে উঠছে। অনেক কৃষককে সাদা পলিথিনে বীজতলা ঢেকে রাখতেও দেখা গেছে।
উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের বিসমিল্লাহ বাজার এলাকার কৃষক মাইদুল ইসলাম জানান ৫ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করার জন্য বীজতলা তৈরি করেছি। ঠান্ডায় ধানের চারা গাছ কুকড়িয়ে লাল হয়ে যাচ্ছে। ধানের ভালো চারা না হলে ফলনও ভালো হবেনা। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।
আরেক কৃষক ফজলুল হক জানান, কৃষি বিভাগের পরামর্শে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুজন কুমার ভৌমিক জানান, শৈত্যপ্রতাহ ও ঘন কুয়াশা থেকে বীজতলা নিরাপদ রাখতে মাঠ পর্যায়ে চাষিদেরকে বীজতলা পলিথিন ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে । এছাড়াও আক্রান্ত বীজতলা রাতে পানি দিয়ে ভরে রেখে সকালে তা বের করে দেয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।