রংপুর প্রতিনিধি:-
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে বিয়ের দাওয়াতে যাওয়া অটোভ্যানে ইজতেমা ফেরত মুসল্লিদের বাসের ধাক্কায় দাদি-নাতি নিহত হয়েছেন। এ সময় শিশুসহ তিন জন আহত হয়েছেন। হতাহতরা একই পরিবারের সদস্য।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার হরিপাড়া-বলগাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন—গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়নের বেশাইন গ্রামের বিজয় চন্দ্র বর্মনের স্ত্রী রতন বালা (৫০) ও তার নাতনি তিথি রানি (১৭)। তিথি কাঁচের চড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
আহতরা হলেন—অরুন বালা (৪০), করুনা রানি (৫৫) ও অপর্ণা রানি (৭)। ঘোড়াঘাট থেকে অটোভ্যানযোগে নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়দেবপুর গ্রামে আত্মীয়ের বিয়ের দাওয়াতে যাচ্ছিলেন তারা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গাজীপুরের টঙ্গী থেকে বিশ্ব ইজতেমার মুসল্লিদের বহন করা একটি বাস দিনাজপুরের দিকে যাচ্ছিল। সামনে থাকা বালুবোঝাই ট্রাক্টরকে ওভারটেক করার সময় যাত্রীবাহী অটোভ্যানকে ধাক্কা দেয় বাসটি। সঙ্গে সঙ্গে ভ্যানটি খাদে পড়ে যায়। বাসটি রাস্তার পাশে উল্টে যায়। এতে ভ্যানের যাত্রীরা আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় আহত পাঁচ জনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। এর মধ্যে দুজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি তিন জনের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বগুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপরজনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’
নিহতের পরিবারের সদস্য নির্মল চন্দ্র বর্মন বলেন, ‘নাতির বিয়েতে অংশ নিতে সকাল ১০টার দিকে আমার পরিবারের সদস্যরা ভ্যানযোগে নবাবগঞ্জে যাচ্ছিল। এ সময় ইজতেমার মুসল্লিদের বহন করা একটি বাসের ধাক্কায় তারা আহত হয়। খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে দেখি পরিবারের দুজন মারা গেছে। আরও দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
ঘোড়াঘাট থানার ওসি আবু হাসান কবির বলেন, ‘দুর্ঘটনাকবলিত বাস, ট্রাক্টর ও অটোভ্যান পুলিশ হেফাজতে আছে। কোনও অভিযোগ না থাকায় লাশ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’