পটুয়াখালী প্রতিনিধি:-
পটুয়াখালীতে শিশুকে (১২) ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ গুমের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৪ জানুয়ারি) জেলার গলাচিপা উপজেলার চরকাজল ইউনিয়নের ছোট শিবা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন এ তথ্য জানান।
এ ঘটনায় সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে রেজাউল সর্দার নামের একজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে রবিবার রাতে ৮টার দিকে উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের চরআগস্তী এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে রেজাউল। তার দেওয়া তথ্যমতে খালের কচুরিপানার নিচে থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে ওই শিশুর বাবা বাদি হয়ে সোমবার সকালে রেজউলকে প্রধান আসামি করে গলাচিপা থানায় একটি মামলা করেন। মামলার ধর্ষণ, হত্যা ও লাশ গুমের অভিযোগ আনা হয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, শনিবার সকালে ঘন কুয়াশার মধ্যে কলই শাক তুলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় ওই শিশু। খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে পুলিশে জানানো হয়। ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে চলে যায় রেজাউল। এতে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে রেজাউলের স্ত্রী, বাবা ও মাকে জিজ্ঞাসাবাদে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
পরে রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পাশের ইউনিয়ন চরবিশ্বাসের চরআগস্তী এলাকা থেকে রেজাউলকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাবাদে ওই শিশুকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করে সে। হত্যার পর কলই ক্ষেতের পাশের খালে কচুরিপনার নিচে লাশ ডুবিয়ে রাখে বলে জানায় রেজাউল। তার দেখানো স্থানে কচুরিপনার নিচ থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওসি বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার আসামিকে আদালতে সোপার্দ করা হয়েছে।