ডেস্ক রিপোর্ট:-
সৌদি আরব ফেরত এক প্রবাসী বৃদ্ধ তার পরিবারকে খুঁজছেন। তিনি নিজের নাম বলছেন আবুল কাশেম। তার দাবি, ২৫ বছর আগে তিনি সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। তার তিন পুত্র ও ছয়কন্যাসহ অনেক আত্মীয়স্বজন এখানে রয়েছেন। তবে সুনির্দিষ্টভাবে ঠিকানা বলতে পারছেন না, অনেক কিছু ভুলে যান। বর্তমানে তিনি বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের মাইগ্রেশান ওয়েলফেয়ার সেন্টারে অবস্থান করছেন। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ব্র্যাকের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কথা জানানো হয়েছে।
ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগামের কর্মসূচি প্রধান শরিফুল হাসান জানান, ‘বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক, এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশসহ সবার সহযোগিতায় বিদেশ ফেরতদের জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকি। এরই অংশ হিসেবে বিমানবন্দরের আর্মড পুলিশ শনিবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে ওই বৃদ্ধকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আমাদের কাছে দেন। ইমিগ্রেশন পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, এই বৃদ্ধ সম্ভবত শুক্রবার দিবাগত রাতে জেদ্দা থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেছেন। তার কাছে কোনও পাসপোর্ট ছিল না। তিনি ট্রাভেল পাস নিয়ে এসেছেন’।
শরিফুল হাসান জানান, ‘শারিরীকভাবে সুস্থ মনে হলেও সম্ভবত তিনি ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ রোগে আক্রান্ত। এ কারণেই তিনি সঠিকভাবে নিজের ঠিকানা বলতে পারছেন না। তিনি জানাচ্ছেন তার নাম আবুল কাশেম। পিতার নাম ফজেল আহমেদ। মাতা সাবানা। স্ত্রীর নাম বলছেন আমেনা। নিজের ঠিকানা তিনি কখনও বলছেন চট্টগ্রামের নয়াবাজার। কখনও বলছেন টেকনাফ। আবার কখনও রাউজানের পাহাড়তলী ইউনিয়নের গরিশংকরহাটের কথাও বলছেন। আবার বলছেন, চট্টগ্রামের নতুন বাজার হালিশহরের কাছে, ঈদগাহের মাঠ বউ বাজার এলাকায় তার ছেলের তরকারির দোকান আছে। আমরা তার বাড়ি কোথায় নিশ্চিত হতে না পারলেও ভাষা শুনে এটুকু বুঝতে পারছি তার বাড়ি চট্টগ্রাম অঞ্চলে।’
আবুল কাশেমের দাবি, তার ৬ মেয়ে ও তিন ছেলে রয়েছে। তার তিন ছেলের নাম মান্নান, নূর হাসান, এনামুল হাসান। এর মধ্যে নূর হাসানের তরকারির দোকান আছে। ছোট ছেলে এনামুল হাসান দুবাই থাকেন। মান্নান সৌদি থাকেন বলে দাবি তার, ৮-১০ জন নাতি-নাতনিও নাকি আছেন। কিন্তু যেহেতু দীর্ঘ ২৫ বছর দেশে নেই সঠিকভাবে সব বলতে পারেন না। তার বক্তব্য অনুযায়ী, বিমানে ওঠার আগে পরিবারের সাথে কথা বলেছেন।
এ প্রসঙ্গে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগামের শরিফুল হাসান আরও বলেন, ‘আমরা চট্টগ্রামের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। হালিশহর ও টেকনাফে খোঁজখবর করছি। বিমানবন্দরের পুলিশসহ পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছি। আমরা মনে করছি সবার সহযোগিতা পেলে তাকে তার পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়া সম্ভব। কেউ তাকে চিনতে পারলে বা কোনও তথ্য পেলে ব্র্যাক মাইগ্রেশান ওয়েলফেয়ার সেন্টারের ম্যানেজার আল-আমিন নয়নের সঙ্গে এই নম্বরে 01712197854 যোগাযোগ করার অনুরোধ করছি।
Leave a Reply