স্পোর্টস ডেস্ক:-
হাতে উইকেট থাকলেও রান তুলতে পারছিল না কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ১৩ ওভারে ৮৭ রান তুলে জনসন চার্লস আউট হতেই ক্রিজে নামেন খুশদিল শাহ। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়েই কুমিল্লার স্কোর গিয়ে ঠেকে ১৮৪ রানে। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় কঠিন এই লক্ষ্য ছুঁতে পারেনি ঢাকা ডমিনেটরস। অধিনায়ক নাসির হোসেনের দুর্দান্ত ইনিংসের পরও ১৫১ রানে থেমেছে ঢাকা। তাতে ৩৩ রানের জয় পেয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১৮৫ রানের কঠিন লক্ষ্যে খেলতে নেমে ঢাকার শুরুটা ছিল ভূতুড়ে। যেমনটা পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই দেখা গেছে। কুমিল্লার বিপক্ষেও সেই বৃত্ত ভাঙতে পারেনি তারা। ৩৪ রানে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার আউট হওয়ার পর ধাক্কা সামাল দিয়েছেন নাসির হোসেন, মোহাম্মদ মিঠুন ও আরিফুল হক। তাদের দৃঢ়তাতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান সংগ্রহ করেছে ঢাকা। ৪৫ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় নাসির অপরাজিত ৬৬ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেললেও তা বৃথা গেছে শেষ পর্যন্ত। মিঠুন ৩৪ বলে ৩৬ এবং আরিফুল হক ১৭ বলে অপরাজিত ২৪ রানের ইনিংস খেলেছেন।
কুমিল্লার বোলারদের মধ্যে হাসান আলী, তানভীর ইসলাম ও মোসাদ্দেক হোসেন একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পাওয়া কুমিল্লা প্রথম ওভারেই উইকেট হারিয়ে বিপদ সংকেত দিয়েছে। তাসকিনের বলে ইনিংসের দ্বিতীয় বলে রানের খাতা না খুলেই আউট হন আগের ম্যাচে কুমিল্লার জয়ের নায়ক লিটন। এরপর ইমরুল ও রিজওয়ানের ৪৭ রানের জুটি ধাক্কা সামাল দিতে ভূমিকা রেখেছে। ইমরুল ২৬ বলে ৩৩ রান করে আউট হলে ক্রিজে নামেন জনসন চার্লস, খেলেন ১৯ বলে ২০ রানের ইনিংস। কুমিল্লর ‘আসল’ খেলা শুরু হয় খুশদিল নামার পর। রিজওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে খুশদিল ৩৬ বলে ৮৪ রানের বিস্ফোরক এক জুটি গড়েন। প্রথম ১৫ ওভারে ১০০ রান তোলা এই জুটিতেই কুমিল্লা শেষ ৫ ওভারে তুলেছে ৮৪ রান। দারুণ এই ইনিংসে ম্যাচ সেরা হয়েছেন খুশদিল। পাকিস্তানের এই ক্রিকেটার ২৪ বলে ৭ চার ও ৫ ছক্কায় ৬৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন।
অন্য ম্যাচগুলোর মতো এই ম্যাচেও দায়িত্বশীল ভূমিকাতে ছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। খুশদিলের মতো তিনিও হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন। ৪৭ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন পাকিস্তানের এই ওপেনার।
ঢাকার বোলারদের মধ্যে তাসকিন, নাসির, ইমরান ও মুক্তার আলী একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
Leave a Reply