স্পোর্টস ডেস্ক:-
বাংলাদেশের শক্তিমত্তা কেমন সেটা ফুটে উঠেছে প্রথম রাউন্ডেই। দুর্দান্ত পারফর্ম করে স্বাগতিক দল সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে। বড়দের মতো কাল আরেকটি ট্রফি জয়ে তাদের সামনে আবারও বাধা শক্তিশালী নেপাল। স্বাগতিকদের লক্ষ্য শিরোপা জিতে প্রথমবার হতে যাওয়া এই বয়স ভিত্তিক টুর্নামেন্টে ইতিহাস গড়ার। বিপরীতে হিমালয়ের দেশটি চাইছে লিগ পর্বের প্রতিশোধ নিয়ে উৎসব করতে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় ময়দানী লড়াই মাঠে গড়াবে কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে। ফাইনালের আগে দু’দলকেই মনে হলো বেশ আত্মবিশ্বাসী। বাংলাদেশ অষ্টমবারের মতো সাফে বয়সভিত্তিক আসরের ফাইনাল খেলছে। যার মধ্যে শিরোপা এসেছে তিনটিতে। ঢাকায় আবার এই টুর্নামেন্টটি হচ্ছে প্রথমবার। স্বাগতিক হওয়ায় এই ট্রফি জয়ের সুযোগ মিস করতে চান না বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। বুধবার সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমরা ট্রফি জয়ের জন্য মাঠে নামবো। মেয়েরা মাঠে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবে। তবে নেপাল ভালো দল। তাদের বিপক্ষে লিগ পর্বে ৩-১ গোলে জয়ী হয়েছিলাম। আশা করছি, ফাইনালেও তাদের পরাস্ত করে ট্রফি জিততে পারবো।’
নেপাল শক্তিশালী ভারতকে হারিয়েই ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। প্রতিপক্ষের খেলা বিশ্লেষণ করে ছোটন বলেছেন, ‘ভারতের গোলরক্ষকের ভুলের কারণে ম্যাচ বদলে গেছে। নেপালকে শক্তিশালী দল ধরে মাঠে নামবো। ওদের কয়েকজন খেলোয়াড়ের খেলা চোখে পড়েছে। ভারত ও আমাদের বিপক্ষে ওদের দুটি ম্যাচ বিশ্লেষণ করেছি, আমরা সেভাবেই মাঠে খেলবো।’
দলটির অধিনায়ক শামসুন্নাহারও জয় ভিন্ন অন্য কিছু ভাবছেন না। বলেছেন, ‘নেপালের সঙ্গে আগে যেভাবে খেলেছিলাম সেভাবেই খেলার চেষ্টা করবো। অবশ্যই খেলার মধ্যে সুযোগ আসবে এবং তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করবো।’
নেপাল কোচ ইয়াম প্রসাদ গুরং শুরুতেই মাইক্রোফোন নিয়ে প্রতিশোধের কথা বলেছেন, ‘আগামীকাল ফাইনাল। আশা করি, আমরা প্রতিশোধ নিতে পারবো।’
স্বাগতিক বাংলাদেশকে হারাতে ভিন্ন পরিকল্পনা আঁটছেন নেপালের কোচের। কিছুটা ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, ‘মাঠ, দর্শক এবং অন্যান্য দিকে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকবে। আমরা কাল ভিন্ন উপায়ে, ভিন্ন কৌশলে খেলবো। আমরা বাংলাদেশের দুর্বল দিক জানি এবং তাদের সেই দুর্বল দিক আমাদের জন্য সুবিধার। তবে এ নিয়ে এখনই বিস্তারিত কিছু বলতে চাই না।’
জয়ের জন্য ক্ষুধার্ত নেপাল অধিনায়ক প্রীতি রায়ও। তিনি এবার ট্রফি নিয়েই কাঠমান্ডুতে ফিরতে চাইছেন, ‘ফাইনালে উঠতে আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমার সতীর্থরা ট্রফি পাওয়ার যোগ্য। আমি মনে করি, এবার ট্রফিটা ঘরে নিতে পারবো।’
Leave a Reply