1. admin@dailypratidinerbarta.com : admin :
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি পরিদর্শন রাজউক প্লান আর অনুমোদনহীন ভবনে ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে নাসিক ৩ নং ওয়ার্ড সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, চাঁদাবাজ, দখলদারের বিরুদ্ধে ডেমরা থানা শ্রমিক দলের বিক্ষোভ মিছিল। একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি ব্যাগিং পদ্ধতিতে আদা চাষে স্বপ্ন বুনছে রানীশংকৈল উপজেলার আদা চাষিরা পীরগাছায় সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময়  মুন্সীগঞ্জে আজ থেকে যৌথ অভিযান অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে শুরু সেনাবাহিনী মুন্সীগঞ্জের কৃতি সন্তান ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হলেন আওলাদ হোসেন পনির মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ শেখ হাসিনার নামে যত মামলা

একসঙ্গে চাপা পড়ে স্ত্রী-দুই কন্যার মৃত্যু, বেঁচে ফিরলেন আলিম

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ৬৬ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট:-
কংক্রিট আর ইটের বড় একটি স্ল্যাবের নিচ থেকে উঁকি দিয়ে আবদুল আলিম মুয়াইনি উদ্ধারকারীদের দিকে দুর্বলভাবে উদ্ধারের জন্য ইশারা করছিলেন। তুরস্কের হতাই প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পের আঘাতে ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়ির নিচে দু’দিনেরও বেশি সময় হয়ে ধরে আটকে আছেন তিনি।

আবদুল আলিমের পাশেই পড়ে আছে তার স্ত্রী এসরার নিথর দেহ। তার কাছে উদ্ধারকারীদের পৌঁছাতে অনেক দেরী হয়ে গেছে।

উদ্ধারের সময় আবদুল আলিমের পুরো শরীর ধূসর ধুলায় আচ্ছাদিত, এক চোখ ফোলা ছিল এবং পানিশূন্যতায় ভুগছিলেন
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের আলোকচিত্রী উমিত বেকতাস দ্বিতীয় দিনের মতো হতায়ে ছিলেন। গত সোমবার ভোরের দিকে তুরস্কের দক্ষিণ এবং সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলজুড়ে শক্তিশালী ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যেসব এলাকা, হতায়ে সেসবের একটি। স্মরণকালের ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে দুই দেশে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ১৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

শহরের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর একটির দিকে এগিয়ে যেতে যেতে তিনি অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী স্বেচ্ছাসেবকদের একটি প্রশ্নই জিজ্ঞাসা করেছিলেন, যা আগেও বহুবার করেছেন: আপনি কি জীবিত কারও কাছে পৌঁছাতে পেরেছেন?

আবদুল আলিমের পা কংক্রিটের নিচে আটকে থাকলেও তার জ্ঞান আছে এবং উদ্ধারকারীদের সাথে কথা বলতে পারছেন তিনি।
এবার তারা বললেন, হ্যাঁ। কারণ তারা আবদুল আলিমকে জীবিত পেয়েছেন।

আবদুল আলিমের পা কংক্রিটের নিচে আটকে থাকলেও তার জ্ঞান আছে এবং উদ্ধারকারীদের সাথে কথা বলতে পারছেন তিনি।

রয়টার্সের আলোকচিত্রী উমিত আব্দুল আলিমের সাথে সরাসরি কথা বলতে পারেননি। তবে আলিমের দুই বন্ধু পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। তারা বললেন, আবদুল আলিম সিরিয়ার হোমস নগরীর বাসিন্দা। গৃহযুদ্ধ থেকে পালিয়ে তুরস্কে পাড়ি জমান তিনি। এখানে আসার পর তুর্কি নারী এসরাকে বিয়ে করেন।

উদ্ধারকারীদের এগিয়ে দেওয়া রশি ধরে বাইরে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছেন আবদুল আলিম
এই দম্পতির দুই মেয়ে মাহসেন এবং বেসিরা। তখন পর্যন্ত মেয়েদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা পরিষ্কার ছিল না।

আবদুল আলিমকে উদ্ধারে দীর্ঘসময় লেগে যায়। কয়েক ঘণ্টা পর উমিত সেখানে ফিরে ঘটনাচক্রে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আবদুল আলিমকে উদ্ধার করতেও দেখেন।

উদ্ধারের সময় আবদুল আলিমের পুরো শরীর ধূসর ধুলায় আচ্ছাদিত, এক চোখ ফোলা ছিল এবং পানিশূন্যতায় ভুগছিলেন। তার চিকিৎসার প্রয়োজন ছিল। তবে তিনি বেঁচে ফিরেছেন।

কম্বলে ঢেকে রাখা হয়েছে আবদুল আলিমের স্ত্রী এসরা ও দুই মেয়ে মাহসেন এবং বেসিরার মরদেহ
কিন্তু তার পরিবারের সদস্যরা বাঁচতে পারেনি। মাটিতে কম্বলে ঢাকা তিনটি মৃতদেহ— এসরা, মাহসেন আর বেসিরার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২২ © দৈনিক প্রতিদিনের বার্তা ©
Theme Customized By Shakil IT Park