অনলাইন ডেস্ক :-
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার ফকিরপাড়ায় বাড়ির দেয়ালে প্লাস্টার করে রাখা এক লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে র্যাব। আটক করা হয়েছে তিন মাদক ব্যবসায়ীকে। তবে ওই বাড়ির মালিক ও মাদকের মূল ব্যবসায়ী পালিয়ে গেছেন।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-৫ এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার। এ সময় র্যাব-৫ এর জয়পুরহাট ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মো. মোস্তফা জামান, স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাসুদ রানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আটকরা হলেন- মোছা. শাহনাজ পারভীন (২৬), সিদ্দিক আলী শাহ (৬৬) ও মোছা. সেলিনা আক্তার (৩৬)। শাহনাজ ও সিদ্দিক সম্পর্কে শ্বশুর-পুত্রবধূ এবং সিদ্দিক ও সেলিনা সম্পর্কে বাবা-মেয়ে। তাদের বাড়ি দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার ফকিরপাড়া এলাকায়। এ ঘটনায় ওই বাড়ির মালিক শাহনাজ পারভীনের স্বামী মোশারফ হোসেন ও তার শ্বশুড় বিপ্লব হোসেন পলাতক রয়েছেন।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার বলেন, বুধবার ভোররাতে বিরামপুরের পোস্তমপুর ফকিরপাড়া এলাকায় মোশারফ হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় বাড়ির মালিক মোশারফ ও তার শ্বশুর বিপ্লব র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান। পরে ওই তিনজনকে আটক করা হয়। অভিযানে এক লাখ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৮ হাজার পিস ভেঙে গেছে। ৯২ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ তালিকা করা হয়েছে। ইয়াবা ছিল পিংক কালার, লাইট পিংক কালারের। এসবের মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা।
তিনি বলেন, পলাতক মোশারফ ও আটক তার স্ত্রী শাহনাজ এলাকায় ইয়াবা ও অন্যান্য মাদক ব্যবসার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তাছাড়া ওই পরিবারের সকলেই এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তারা ইয়াবার চালান এনে নিজ বাড়ি ও তার শ্বশুরবাড়িতে আন্ডারগ্রাউন্ড করে অভিনব কায়দায় সংরক্ষণ করে রাখতো। সেখান থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় এই মাদক সরবরাহ করতেন। এ ঘটনায় দিনাজপুরের বিরামপুর থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
Leave a Reply