রিয়েল তন্ময়:-বিনোদন প্রতিবেদকঃ-
সাত পর্বের একটি ধারাবাহিক এবং দুটি একক নাটকে অভিনয়ের জন্য এখন অস্টেলিয়া অবস্থান করছেন সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা রাশেদ সীমান্ত। বৈশাখী টিভির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলনের লেখা নাটক দুটি পরিচালনা করছেন আল হাজেন। রাশেদ সীমান্তর নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করছেন আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিকা আমিন। নাটকটিতে দেশীয় অভিনেতা অভিনেত্রী ছাড়াও অন্তত ২০ জন বিদেশী অভিনেতা অভিনেত্রীর অভিনয় করার কথা রয়েছে বলে মুঠো ফোনে জানালেন পরিচালক আল হাজেন। পরিচালক আরো বলেন, অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও বাংলাদেশেও শুটিং হবে এ নাটক দুটির। ৭ পর্বের নাটকটির নাম ‘হাবুর স্কলারশিপ’ আর একক নাটক দুটি হলো- ‘কন্ট্যাক্ট ম্যারেজ-১’ ও ‘কন্ট্যাক্ট ম্যারেজ-২’। এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে তাদের দেশে আসার কথা রয়েছে।
অভিনেতা রাশেদ সীমান্ত বলেন, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে নাটকের শুটিং করছি তা খুবই আনন্দের। সুন্দর লোকেশন আর গল্প সত্যিই অসাধারণ। সবচেয়ে ভালো লাগছে প্রবাসী বাঙালিদের আতিথেয়তা। তারা যে আমার নাটক দেখে আমাকে এত পছন্দ করে এ দেশে না এলে বুঝতেই পারতাম না। আমাকে এক নজর দেখার জন্য নানা প্রান্ত থেকে তারা ছুটে আসছেন। আমার জন্য প্রিয় সব খাবার নিয়েও হাজির হচ্ছেন কেউ কেউ। তাদের এ ভালোবাসার কথা আমি মনে রাখব অনেক দিন।
‘হাবুর স্কলারশিপ’ নাটক নিয়ে বলতে গিয়ে লেখক টিপু আলম মিলন বলেন, নাটকে দেখা যাবে গ্রামের অত্যন্ত সহজ-সরল কিন্তু মেধাবী ছেলে হাবিবুর রহমান স্কলারশিপ পেয়ে অস্ট্রেলিয়ান ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখার সুযোগ পায়। যে ছেলে কোনদিন এর আগে ঢাকার শহরেই আসেনি সে পড়ালেখা করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়াতে। সহজ সরল হওয়াতে অস্ট্রেলিয়া পৌঁছানো পর্যন্ত নানা ধরনের হাস্যকর ঘটনার জন্ম দেয় হাবিবুর রহমান। এদিকে মারজান ধনীর দুলালী, সেও একই ফ্লাইটে অস্ট্রেলিয়া যায় পড়ালেখা করতে একই ইউনিভার্সিটিতে। মারজান অবাক হয় এত বোকা একটি ছেলে কিভাবে এত বড় ইউনিভার্সিটিতে সুযোগ পেল? শুরু হয় হাবু এবং মারজানের অস্ট্রেলিয়ান জীবন। স্এেক শিহরণ জাগানিয়া রোমাঞ্চকর কাহিনী। নাটকটি দেখলে মানুষ সম্পর্কে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।
‘কন্ট্যাক ম্যারেজ’ নাটক নিয়ে টিপু আলম মিলন আরো বলেন, নাটকটি মূলত যে সমস্ত প্রবাসী উন্নত দেশে গিয়ে পাসপোর্টের আশায় কন্ট্যাক্ট ম্যারেজ করে তাদের গল্প। এরকমই একজন বাংলাদেশী যুবক মোকসেদ এক আফ্রিকান বংশোদ্ভূত মহিলাকে কন্ট্যাকে বিয়ে করে বিপদে পড়ে যান। পাসপোর্ট-এর জন্য মরিয়া মোকসেদ অন্যদিকে আফ্রিকান বংশোদ্ভূত নাইটেঙ্গেল তার কাছে চুক্তির বাইরে অনেক টাকা দাবি করে বসেন, ফলে ঘটতে থাকে নানা রকম অপ্রীতিকর ঘটনা। কন্ট্যাক্ট ম্যারেজ আসলে এক মরীচিকা! কন্ট্যাক্ট ম্যারেজ করে যারা বিদেশে পাড়ি জমানের জন্য মরিয়া, নাটকটি তাদের সচেতন করবে বলে আমার বিশ্বাস।
Leave a Reply