স্পোর্টস ডেস্ক:-
দুই বছরেরও বেশি সময় পর গেল জানুয়ারিতে লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর দ্বৈরথ দেখার সুযোগ পায় ফুটবল ভক্তরা। পর্তুগিজ সুপারস্টার যখন নতুন ক্লাব আল-নাসরের হয়ে মাঠে নামার অপেক্ষায় ছিলেন, তার আগেই প্রীতি ম্যাচটির আয়োজন করা হয়। মেসি, নেইমার ও এমবাপের পিএসজির বিপক্ষে সৌদি ক্লাব আল-নাসর ও আল-হিলালের সম্মিলিত দল নিয়ে মুখোমুখি হন রোনালদো। বিশ্ব ফুটবলের আকর্ষণীয় ওই ম্যাচটি কিং ফাহাদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
এবার সেই মাঠে অনুষ্ঠিত হবে ভারতীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট সন্তোষ ট্রফির সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচ। এর আগে মেসি-রোনালদোদের ম্যাচটিতে পুরো স্টেডিয়ামে দর্শকদের ভীড় নেমেছিল। ভারতীয় ট্রফির ম্যাচেও দর্শক টানতে চায় সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ)।
ফেডারেশনের সচিব শাজি প্রভাকরণ বলছেন, ‘ভারতীয় ফুটবলের জন্য এটি দারুণ একটি মুহূর্ত। যে চার রাজ্য সেমিফাইনালে উঠবে তারা সৌদি আরবে গিয়ে খেলার সুযোগ পাবে। শেষ চারের লড়াই সবসময়ই খুব আকর্ষণীয়। সন্তোষ ট্রফির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চে সেই লড়াই হবে। তবে আমাদের লক্ষ্য আরও বড়। ভিশন-২০৪৭ কে সামনে রেখেই এই আয়োজন করা হয়েছে।’
ভারতের প্রাচীন ফুটবল টুর্নামেন্ট সন্তোষ ট্রফির যাত্রা শুরু হয় ১৯৪১ সালে। তবে এর আগে প্রতিটি আসরই দেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিদেশের মাটিতে কখনো এই প্রতিযোগিতার খেলা হয়নি। খেলোয়াড়দের অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে এবার সন্তোষ ট্রফির চূড়ান্ত দুটি পর্বের ম্যাচগুলো সৌদি আরবের মাঠে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এআইএফএফ প্রধান কল্যাণ চৌবে জানিয়েছেন, ‘সন্তোষ ট্রফির আগের জৌলুস এখন আর নেই। অন্য প্রতিযোগিতাগুলো অনেক বেশি প্রচার পায়। কিন্তু অনেক রাজ্যের কাছে সন্তোষ ট্রফির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বিদেশের মাটিতে এই প্রতিযোগিতা হলে খেলোয়াড়রা অনেক বেশি অনুপ্রেরণা পাবে।’
বিদেশের মাটিতে ম্যাচ আয়োজনের মাধ্যমে কেবল খেলোয়াড়রাই নয়, সে দেশে থাকা প্রবাসীদেরও ফুটবলে আগ্রহ তৈরি করা যাবে বলে আশা ফুটবল ফেডারেশনের। টুর্নামেন্টটির ফাইনাল পর্বে মোট ১২টি দল অংশ নেবে। তবে সেসব ম্যাচের সময় এখনো জানানো হয়নি।
Leave a Reply