অনলাইন ডেস্ক:-
গাজীপুরের শ্রীপুরে তালাবদ্ধ ঘর থেকে এক নারী (২২) ও তার শিশুসন্তানের(৪) মরদেহ উদ্ধারের একমাস পর আসামি রহমত উল্লাহকে (২৯) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় তাকে গাজীপুর আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার ভোরে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সীমান্ত (ঝিরুন্দি) এলাকা থেকে রহমতকে গ্রেফতার করা হয়।
শুক্রবার দুপুর ১২টায় শ্রীপুর থানা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কালিয়াকৈর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আজমীর হোসেন এ তথ্য জানান।
আসামি রহমত উল্লাহ গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার কুশদী গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। সে শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিম খণ্ড (এসিআই গেইট) সংলগ্ন শান্তির বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া থাকতো।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমজাদ হোসেন জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আসামি রহমত উল্লাহ জানায়, এ ঘটনার তিন-চার মাস আগে তার সঙ্গে ভিকটিম গৃহবধূর পরিচয় হয়। পরে তার বাড়িতে আসামি রঙের কাজ শুরু করে। একপর্যায়ে ভিকটিমের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে সে। গৃহবধূর স্বামী বাড়িতে থাকতেন না। ঘটনার রাতে আসামি রহমত কৌশলে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে গৃহবধূকে অচেতন করে ধর্ষণের চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তি হয়। এতে পাশে ঘুমিয়ে থাকা শিশুটি জেগে উঠলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে রহমত। পরে গৃহবধূকেও শাসরোধে করে হত্যা করে। যাওয়ার সময় গৃহবধূর দুটি মোবাইল, ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা এবং তার পা থেকে একজোড়া রুপার নুপুর খুলে নিয়ে যায়। ৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় পুলিশ মা-ছেলের লাশ উদ্ধার করার সময় উপস্থিত লোকজনের সঙ্গে আসামিও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। লাশ উদ্ধারের দুই দিন পর ৯ জানুয়ারি রাত ১২টায় গ্রেফতারের জন্য আসামির বাড়িতে গেলে সে সীমানা প্রাচীর টপকে পালিয়ে যায়। পরে নরসিংদীর ফুফুর বাড়িতে একদিন অবস্থান করে। এরপর টঙ্গীতে এক বন্ধুর বাড়িতে তিন-চার দিন থাকে। সেখান থেকে গোপালগঞ্জে গিয়ে রুবিনার দুটি মোবাইল চার হাজার টাকায় বিক্রি করে। ওই টাকা নিয়ে ২০ জানুয়ারি দালালের মাধ্যমে যশোর সীমান্ত দিয়ে ভারতের নদীয়া জেলার কৃষ্ণপুর থানা সংলগ্ন পেপসি কোম্পানিতে শ্রমিকের চাকরি নেয়। ভারতের দালালের মাধ্যমে তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে ৯ ফেব্রুয়ারি ভোরে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সীমান্ত (ঝিরুন্দি) এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
Leave a Reply