বিশেষ প্রতিনিধিঃ-
সরকারি স্টিকার লাগানো একজন উপ-সচিবের গাড়ি দিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় গিয়ে আলোরণ সৃষ্টি করেছেন গ্রেফতারী পরোয়ানাভূক্ত আসামি জেলা শ্রমিক লীগের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ মোল্লা। চেক জালিয়াতি মামলায় গত বুধবার রাতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করলে তিনি ওই গাড়ি দিয়ে থানায় যান। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তার জামিন না মুঞ্জুর করেন।
মহিউদ্দিন আহমেদ মোল্লা সানারপাড় এলাকার আব্দুল কাদির মোল্লার ছেলে। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপি ছেড়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। তবে ওই কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে, চেক জালিয়াতির অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যক্তির দায়ের করা সিআর ১৪২৯/২০২২ নং মামলায় গত ৫ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নং আদালত মহিউদ্দিন আহমেদ মোল্লার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। এর প্রেক্ষিতে গত বুধবার রাতে দক্ষিন সানারপাড় তার নিজ বাড়ী থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেন। এসময় তিনি পুলিশের গাড়ি দিয়ে না গিয়ে (ঢাকা-মেট্রো চ-২০-৪৫০৩) কাল রঙের নোয়া গাড়ি দিয়ে থানায় যান। গাড়িটির সামনে ও পিছনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার লিখা স্টিকার লাগানো ছিল। সরকারি স্টিকার লাগানো গাড়ি দিয়ে গ্রেপ্তারকৃত আসামি থানায় যাওয়ায় আলোরণ সৃষ্টি হয়েছে।
মহিউদ্দিন মোল্লা বলেন, এটি একজন উপ-সচিবের গাড়ি। আমার বাড়ীতে মাঝে মধ্যে আসে। তবে উপ-সচিবের নাম জানাননি তিনি।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক একেএম মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, অনেক কৌশল করে তাকে গ্রেপ্তার করতে হয়েছে। আমাদের গাড়ি দিয়ে আনা সম্ভব ছিলনা। তাই অন্য গাড়ী দিয়ে আনতে হয়েছে। রাত ছিল তাই গাড়িতে রাষ্ট্রিয় স্টিকার লাগানো ছিল কিনা লক্ষ করিনি।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, আদালতের পরোয়ানার ভিত্তিতে মহিউদ্দিন আহমেদ মোল্লাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে রাষ্ট্রিয় স্টিকার লাগানো গাড়ির বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান।