মেছবাহুল আলম:-ভূরুঙ্গামারী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ-
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে দুধকুমার নদের তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজে ধীরগতির কারণে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ভাঙ্গনের ভয়ে দুঃচিন্তায় রয়েছেন এলাকাবাসী। জানা গেছে, ‘কুড়িগ্রাম জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত দুধকুমার নদের ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায়’ ভূরুঙ্গামারী উপজেলাধীন ইসলামপুর এলাকায় ১৫০০ মিটার ভাটির টার্মিনেশন সহ নদী তীর সংরক্ষণ কাজের জন্য তিনটি প্যাকেজে দরপত্র আহবান করে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
ইসলামপুর মৌজার ভাটিতে ৫০০ মিটার ১৫ নং প্যাকেজের প্রাক্কলিত মূল্য ধরা হয়েছে ১০ কোটি ৪২ লাখ ৫৫ হাজার ৭৩৩ টাকা। টিআই-পিভিএল-জেডআই জেভি নামের ঢাকার একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এই কাজটি পায়।
মধ্যভাগে ৫০০ মিটার ১৪ নং প্যাকেজের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ কোটি ৮৭ লাখ ৫৩ হাজার ৬৩ টাকা। রংপুরের মেসার্স রূপান্তর নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পায় এই কাজটি। উজানের ৫০০ মিটার ১৩ নং প্যাকেজের প্রাক্কলিত মূল্য ধরা হয়েছে ১১ কোটি ৯৪ লাখ ২৪ হাজার ৯২৭ টাকা। ঢাকার এসএএসআই নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এই কাজটি পায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে নদীর তীরে জিও ব্যাগ ফেলা শুরু করলেও সামান্য কিছু জিও ব্যাগ ফেলে কাজ বন্ধ রাখে। নদীর তীর উপর থেকে নিচের দিকে ঢালু না করে ওই সকল জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। কোন কোন অংশে জিও ব্যাগ না ফেলায় ওই সব স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে কাজ সমাপ্তের কথা থাকলেও এখনও শতভাগ জিও ব্যাগ ফেলা হয়নি। শুধু তাই নয় এখনও ব্লক তৈরি কাজও শুরু হয়নি। ফলে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, বর্ষা মৌসুমের আগে কাজ শেষ করতে না পারলে নদী ভাঙ্গন দেখা দিবে। এর ফলে শতশত বিঘা ফসলী জমি ও ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে। ঘরবাড়ি ও জমি হারানোর দুঃচিন্তায় রয়েছেন বলে জানান তারা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য কামাল সরদার জানান, কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য ঠিকাদারের লোকজনকে কাজ চালু করতে বললেও তারা কাজ বন্ধ করে বসে আছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রুপান্তর এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক গোলাম রব্বানী জানান, আমরা জিও ব্যাগ ভর্তি করে বসে আছি। কাউন্টিং না করার কারনে অবশিষ্ট জিও ব্যাগ ফেলা সম্ভব হচ্ছেনা।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, ঢাকা অফিসের পরিদর্শন সংক্রান্ত কারণে তীর সংরক্ষণ কাজে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ইসলামপুরে তীর সংরক্ষনের কাজ শুরু করা যাবে।