অনলাইন ডেস্ক:-
বাগেরহাটের সুন্দরবনে ঢুকে পড়া নিজের গৃহপালিত গরু ফিরিয়ে আনতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে ফজলু গাজী (৬২) নামে এক কৃষক আহত হয়েছেন।
ফজলুকে শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের উত্তরো রাজাপুর গ্রাম সংলগ্ন বনে বাঘের হামলঅর শিকার হন তিনি।
ফজলু সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলার উত্তর রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা।
গরু আনতে গিয়ে আক্রমণে তার ফজলুর ডান পায়ে ক্ষত হয়েছে। তার পরিবারের সদস্যদের ভাষ্য, বনে প্রবেশের অনুমতি ছিলো না। তাই ‘ভয়ে’ দুদিন কাউকে কিছু জানাননি তারা।
ফজলুর স্ত্রী ফিরোজা বেগম জানান, বাড়ির পাশেই ছোট বেড়িবাঁধ। এরপর ছোট ভোলা নদী, নদীর পরে বন। গরুটি ছাড়া পেয়ে গত মঙ্গলবার শুকিয়ে যাওয়া নদী পেরিয়ে সুন্দরবনে ঢুকে পড়ে। ওই গরু আনতে ওই পার গিয়েছিলেন তার স্বামী।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফজলু বলেন, ‘বনের মধ্যে যেতেই গরু খুঁজে পাই। এর মধ্যেই টের পাই, পেছন দিক থেকে কী যেন দৌঁড়ে আসছে। পেছন ফিরে বাঘ দেখে চিৎকার শুরু করি। তখন সামনের খালে থাকা দুই নৌকার ১০-১২ বারো জন লোক আমাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেন। এর মধ্যে বাঘ এসে আমার একটা পা কামড়ে ধরে। এ অবস্থায় নৌকার লোকজন চিৎকার করতে করতে দৌঁড়ে আসায় বাঘটি তাকে ছেড়ে চলে যায়।’
ফজলু গাজী ছেলে মো. ফিরোজ গাজী বলেন, ‘গরু আনতে বাবা বনে গেছিলেন। কোনও পাস (বনে প্রবেশের অনুমতি) ছিলো না। তাই ভয়ে কাউকে কিছু জানাইনি। গ্রাম্য চিকিৎসক দিয়ে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করাচ্ছিলাম। অবস্থা খারাপ হলে এক ডাক্তার হাসপাতালে ভর্তি করতে বলেন।’
বাগেরহাট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার সমাদ্দার বলেন, ‘বাঘের কামড়ে আহত ফজলুর ডান পায়ের ক্ষত অনেক বেশি। সেখানে গভীর গর্ত হয়েছে। পরিবারটি অনেক দরিদ্র, চিকিৎসার ব্যয় মেটাতে পারছে না। ভর্তি করার পর হাসপাতাল থেকেই সেবা দেওয়া হচ্ছে।’