রাজু আহমেদ, স্টাফ রিপোর্টার
২১শে ফেব্রুয়ারি,১৯৫২ সাল। প্রত্যেক দিনের মত সকালটা শুরু হলেও দিনটি ছিল বাংলার ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। ভাষা নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের করা সকল অত্যাচার, নিপীড়ন এর বিরুদ্ধে জেগে ওঠা আমাদের সূর্যসন্তানেরা ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্বেও রাজপথে আন্দোলন করার সিদ্ধান্ত নেন। "রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই" স্লোগানে মুখরিত হয় রাজপথ। মিছিলে হামলা চালায় পুলিশ; লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণ শুরু হয়। সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার সহ আরো ভাষা শহিদদের রক্তে রঞ্জিত হয় রাজপথ। তাদের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের মাতৃভাষা, প্রাণের ভাষা "বাংলা"; যুক্ত হয় রাষ্ট্রভাষা হিসেবে সংবিধানে। এই ভাষা আন্দোলনই পরবর্তী সকল আন্দোলনে আমাদের অনুপ্রেরণা যোগায়। আমাদের ভাষা শহিদদের আত্মত্যাগকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ৫ই আগষ্ট, ২০১০ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারিকে বিশ্বব্যাপী 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' হিসেবে পালন করা হয়। "আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস"এর সূচনা হয়েছিল আমাদের বাংলা ভাষাকে কেন্দ্র করে। প্রতি বছর এই দিনটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় মাতৃভাষার গুরুত্ব ও মর্যাদার কথা। প্রত্যেকটা মানুষ যেনো তার মায়ের ভাষায় কথা বলতে পারে এটাই নিশ্চিত করার মূলমন্ত্র নিয়ে প্রতি বছর পালিত হয় এই দিবসটি।
তাইতো প্রতি বছরই মনে পরে যায়,শহীদ আলতাফ মাহমুদের সুরে অমর একুশের গান 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি!!' ।
যে মহান শহীদদের রক্তের বিনিময়ে আমরা এই বাংলা ভাষা পেয়েছি, মাতৃভাষায় কথা বলতে পারছি, তাদের কে যানায় বিনম্র শ্রদ্ধা। শহীদ দিবস অমর হউক।