1. admin@dailypratidinerbarta.com : admin :
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি পরিদর্শন রাজউক প্লান আর অনুমোদনহীন ভবনে ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে নাসিক ৩ নং ওয়ার্ড সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, চাঁদাবাজ, দখলদারের বিরুদ্ধে ডেমরা থানা শ্রমিক দলের বিক্ষোভ মিছিল। একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি ব্যাগিং পদ্ধতিতে আদা চাষে স্বপ্ন বুনছে রানীশংকৈল উপজেলার আদা চাষিরা পীরগাছায় সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময়  মুন্সীগঞ্জে আজ থেকে যৌথ অভিযান অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে শুরু সেনাবাহিনী মুন্সীগঞ্জের কৃতি সন্তান ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হলেন আওলাদ হোসেন পনির মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ শেখ হাসিনার নামে যত মামলা

সাহায্য তুলে টাকা পাঠিয়েও প্রাণভিক্ষা পেলেন না প্রবাসী সাহেদ

  • আপডেট সময় : সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ৫৭ বার পঠিত

অনলাইন ডেস্ক:-
দালালের মাধ্যমে লিবিয়াতে গিয়ে মাফিয়া চক্রের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের পাটলী ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের সাহেদ নামের এক যুবক। সাহেদের এমন নির্মম মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মৃত সাহেদ আলী (৩০) মৃত তবারক আলী ও গৃহিনী হাজেরা বিবি দম্পতির ছোট ছেলে।

জানা যায়, পৈতৃক ভিটা বিক্রি করে চার লাখ টাকা দিয়ে দালালদের মাধ্যমে লিবিয়া গিয়েছিলেন সাহেদ আলী। লিবিয়া গিয়ে সেখান থেকে দালালের মাধ্যমে ইতালি যাওয়ার পরিকল্পপনা করেন তিনি। কিন্তু যাওয়ার পথে মাফিয়া চক্রের কবলে পড়েন সাহেদ। তাকে আটক করে মুক্তিপণ দাবি করে মাফিয়া চক্র। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে টাকা দিতে পারেনি সাহেদের পরিবার। টাকা দিতে না পারায় নির্যাতন শুরু হয় সাহেদের ওপর। নির্যাতনের খবর দেশে তার পরিবার জানতে পারলে এলাকার মানুষের থেকে সাহায্য তুলে দেড় লাখ টাকা লিবিয়ায় পাঠায়। এই টাকায় সন্তুষ্ট না হয়ে মাফিয়ারা তার ওপর নির্যাতন চালিয়ে যায়। আর এতে নিহত হন সাহেদ। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সাহেদ আলীর মৃত্যুর খবর জানতে পেরেছে তার পরিবার।

তার পরিবার জানায়, ২০২২ সালের ২১ মে চার লাখ টাকা দিয়ে উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের পাড়ারগাঁও গ্রামের দালাল শাহীনের মাধ্যমে লিবিয়া যায় সাহেদ আলী। সেখানে পরিচয় হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দালাল সাদ্দামের সঙ্গে। ওই বছরের নভেম্বর মাসে সাদ্দামকে সে মাফিয়া চক্রের হাতে তুলে দেয়। তখন মাফিয়া চক্র সাহেদের পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চায়।

সাহেদের ভাই সাজ্জাদ মিয়া বলেন, মানুষের কাছে হাত পেতে দেড় লাখ টাকা যোগাড় করে দালালের মাধ্যমে মাফিয়াদের দিয়েছি। এরপরেও প্রাণভিক্ষা পেল না সাহেদ। টাকার জন্য তাকে মেরে ফেলা হয়েছে।

সাহেদ আলীর বোন সেবিকা বেগম জানান, আমরা মুক্তিপণের টাকা দিতে না পারায় আমার ভাইকে অনাহারে রেখে নির্যাতন করা হয়। আমরা দালাল সাদ্দামের মাধ্যমে মাফিয়া চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে মানুষের থেকে হাত পেতে টাকা সংগ্রহ করে পাঠিয়েও বাঁচাতে পারলাম না। আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।

জগন্নাথপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে দালালদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২২ © দৈনিক প্রতিদিনের বার্তা ©
Theme Customized By Shakil IT Park