সাজ্জাদ আহম্মেদ খোকন,স্টাফ রিপোর্টারঃ-
নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী অধ্যাপিকা শিরিন বেগমের মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করা হয়েছে।জানা গেছে তার গেজেট নম্বর ছিল ১৯৩১। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) ৭৪তম সভায় প্রফেসর শিরিন বেগমের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিলের সুপারিশ করা হয়। প্রকৃতপক্ষে তিনি মুক্তিযোদ্ধা নেন এমন অভিযোগের ভিত্তিতে এবং তা প্রমাণিত হওয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এই বিষয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি উপ-সচিব মুহাম্মদ রেহান উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক গেজেট প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তবে বিষয়টি জানাজানি হয় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়।
অধ্যাপিকা শিরিন বেগম সোনারগাঁও উপজেলার চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. শামসুল ইসলাম ভুইয়ার সহধর্মিণী। তিনি নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজ সাবেক অধ্যাপিকার দায়িত্ব পালন করছেন।
মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল প্রসঙ্গে জানার চেষ্টা করে বেশ কয়েকবার তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. নূরুল হুদা বলেন, সম্ভবত ১০১৭ সালে প্রফেসর শিরিন বেগমের নাম তালিকাভুক্তির আলোচনা উঠলে ততকালীন সময়েই সোনারগাঁও উপজেলার সকল বীর মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধে তার সক্রিয় ভুমিকার ব্যাপারে জোর আপত্তি তোলেন এবং তিনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নন বলে দাবি করেন। তিনি সোনারগাঁও উপজেলার বাসিন্দাও নন।
এ বিতর্ক পরিস্থিতির পরেও পরবর্তীতে তিনি কিভাবে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার নাম তালিকাভুক্ত করেছে তা অনেকেরই অজানা।
তবে তার মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল করে গেজেট প্রকাশ হয়েছে সে ব্যাপারে আমরা অবগত না।
সোনারগাঁও উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক উপজেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গনি বলেন, প্রফেসর শিরিন বেগমকে আমরা ভালো করে চিনিও না তিনি সোনারগাঁও এর বাসিন্দা না,সে কোথায় কিভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছেন কিংবা অংশ করেছেন কিনা আমার এ ব্যাপারে কোন তথ্য নিশ্চিত জানা নেই। তালিকাভুক্তি ও বাতিলের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। তবে তিনি জানান ২০১৭ দিকে তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্তির কথা উঠলে সোনারগাঁও এর সকল মুক্তিযোদ্ধারা এর জোর বিরোধিতা করেন।
Leave a Reply