সঞ্জয় দাশ,চিফ রিপোর্টারঃ-
আজ(৬ মার্চ) আনুমানিক ১২.১৫ মিনিটের সময় কলারোয়া থানা পুলিশ গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারেন যে, একটি সশস্ত্র ডাকাত দল সাতক্ষীরাগামী আন্ত:জেলা পরিবহন (বাস) এ ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে কলারোয়া থানাধীন কেরালকাতা ইউনিয়নের কোটার মোড়ে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিকভাবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আসাদুজ্জামান, সদর সার্কেল, সাতক্ষীরা এর নেতৃত্বে অফিসার ইনচার্জ কলারোয়া ও সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স সহ রাত আনুমানিক ০২.৩০ মিনিটের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ডাকাত দলকে আটকের চেষ্টাকালে ডাকাতদল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশ সদস্যগন নিজের জানমাল,সরকারি সম্পত্তি অস্ত্রগুলি রক্ষার্থে আত্মরক্ষার জন্য কং/৫৯২ মোঃ রাজিব মীর এর ইসুকৃত শটগান দিয়ে ০৮ রাউন্ড পাল্টা গুলি করে। ডাকাত ও পুলিশের গুলাগুলির মধ্যে পুলিশ আন্তজেলা ডাকাত দলের আগ্নেয়াস্ত্র সহ ০৬ (ছয়) জন ডাকাত দলের সদস্যদের আটক করে এবং ঘটনাস্থল থেকে ডাকাত দলের দুই জন সদস্য পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহুত একটি ৯ এমএম পিস্তল, ০২ রাউন্ড গুলি এবং ০২ টি প্রাইভেটকার জব্দ করেন।ডাকাত দল ও পুলিশের মধ্যে গুলিবিনিময়কালে ডাকাতদের ব্যবহৃত প্রাইভেট কারের গ্লাস ভেঙ্গে ভাঙ্গা গ্লাসের টুকরো ও স্প্রিন্টারের আঘাতের ফলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার,মীর আসাদুজ্জামান,সদর সার্কেল,মোঃ নাসির উদ্দিন মৃধা,অফিসার ইনচার্জ,কলারোয়া থানা,সাতক্ষীরা,এবং কলারোয়া থানায় কর্মরত এএসআই/মোঃ আনোয়ার হোসেন,কং/৫৯২ মোঃ রাজিব আহত হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার জন্য কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে গুরুতর আহত এএসআই/আনোয়ার হোসেনকে কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। আহত পুলিশ সদস্যগণ বর্তমানে শংকামুক্ত। উক্ত ঘটনায় গ্রেফতারকৃত গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহত ডাকাত দলের সদস্য আসামী মিজানুর রহমানকে একই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। ধৃত আসামীদের বিরুদ্ধে কলারোয়া থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলমান। পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।
Leave a Reply