অনলাইন ডেস্ক:-
ঝিনাইদহে যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূকে হত্যার মামলায় স্বামী ও সতিনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দুপুরে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এ রায় দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় ২০১২ সালের ২৩ জানুয়ারি ঘুমন্ত অবস্থায় মাজেদা খাতুনকে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় স্বামী শহিদুল ও সতিন চম্পা খাতুন। মাজেদার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গ্রাম পুলিশ শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল চার্জশিট দাখিল করে। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালত আজ এই রায় ঘোষণা করেন। তবে দণ্ডিতরা বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
মামলার বাদী গ্রাম পুলিশ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, মাজেদা খাতুন দীর্ঘদিন ধরে হলিধানী এলাকায় চাকরির সুবাদে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। পরে সম্পর্ক করেই শহিদুলের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এই অঞ্চলে মাজেদা খাতুনের কোনো আত্মীয়স্বজন ছিল না। তাই গ্রাম পুলিশ হিসেবে সরকারিভাবে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করি। আদালতের এমন রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। যার কেউ নেই, তার জন্য যে আইন আছে এই রায় তার একটি উদাহরণ।
Leave a Reply