অনলাইন ডেস্ক:-
নিয়মনীতি ভঙ্গ করে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ১৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগে কুষ্টিয়ার কুমারখালী সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও নিয়োগ কমিটির সদস্যসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দুদকের কুষ্টিয়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক নীলকমল পাল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদক উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন -কুষ্টিয়ার কুমারখালী সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহা. আবুল কাশেম, ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মো. সামসুজ্জামান অরুন, শিক্ষক প্রতিনিধি ও ভোকেশনাল শাখা ট্রেড ইন্সট্রাক্টর মো. আব্দুস সাত্তার, সহকারী শিক্ষক (গণিত) মো. খলিলুর রহমান।
এছাড়া নিয়োগপ্রাপ্ত ১৮ জনকেও আসামি করা হয়েছে। যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- কুমারখালীর বাসিন্দা আসমা বেগম মালা, এস এম আতি বিন বাপ্পী, শেখ মো. সেলিম রেজা,সাথী আক্তার,বাসনা রানী কর্মকার, মোছা. রুপালী খাতুন, সনজিত কুমার বাঁশফোর, মো. নাসিম হোসেন, মো. আলমগীর হোসেন, মো. আমিরুল ইসলাম, মোছা. খাদিজাতুল কোবরা, আব্দুল্লাহ আল মামুন, দাউদকান্দির মনিরা পারভীন, কুষ্টিয়া সদরের আব্দুল্লাহ মোহাম্মদী, রাজবাড়ীর আমিরুল ইসলাম ও মো. শহিদুল ইসলাম।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে রেকর্ডপত্র সৃজনপূর্বক এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এম.পি.ও নীতিমালা, ২০১০, ২০১৩ ও ২০১৮ এর বিধিবিধান এবং সরকারি প্রজ্ঞাপনের নিয়ম ভঙ্গ করে শিক্ষক ও কর্মচারী পদে নিয়োগ দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, নিয়োগের সময় স্কুলের তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যদের বাদ রেখে নিয়োগ পরীক্ষার মূল্যায়নপত্রে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. সামসুজ্জামান অরুন ও প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কাশেমসহ শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে আব্দুস সাত্তার এবং ভোকেশনাল শাখার ট্রেড ইন্সট্রাক্টর মো. খলিলুর রহমানের স্বাক্ষরে শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এম.পি.ও নীতিমালা, ২০১০, ২০১৩ ও ২০১৮ অনুযায়ী উক্ত বিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোন শিক্ষক/কর্মচারীর শূন্য পদের প্রাপ্যতা না থাকলেও এমনকি মাউশি বা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না থাকলেও বিধিবর্হিভূতভাবে পরস্পর যোগসাজশে অপরাধমূলক অসদাচরণ, প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ১৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে বিদ্যালয়ে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
Leave a Reply