আব্দুল হামিদ সরকার,নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ-
নীলফামারীতে শাশুড়ি,স্বামী,ও ছোট জা গৃহবধূকে এক অমানবিক নির্যাতন করে অনাহারে ঘরের ভিতরে আটকে রাখা ও বিবস্ত্র ( বস্ত্রহীন) করে বাডি থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে নীলফামারী জেলার জল ঢাকা উপজেলার বালা গ্রাম ইউনিয়নের বালা গ্রাম পাড়ার নয়া বাজার জেলের পাড়ার বাসিন্দা সুবাস চন্দ্র দাস ( হাগুড়া দাস) সদেশ দাস ও পুষ্প দাস ( পাতানী দাস) এবং ছোট জা চামেলি রানী দাসের নামে।
এবিষয়ে নির্যাতনের শিকার ও প্রত্যকদর্শী এবং নির্যাতিতার বড় বোন শ্রীমমতা রানী দাস বলেন আমার ছোট বোন শ্যামলী রানী দাস ও বালা গ্রাম নিবাসী শ্রী সুবাস দাস ( হাগুরা দাস) এর বড় ছেলে শ্রী সদেশ দাস এর সাথে ২ বছর আগে বিয়ে হয় কিন্তু বিয়ে হওয়ার কিছু দিন পর থেকে আমার বোনের উপর কারণ ছাড়া এবং সামান্য কিছু কথা নিয়ে তারা অমানবিক নির্যাতন করে এবং ঘরের ভিতরে তালাবন্ধ রেখে তাকে অনাহারে রাখে আর আমার বোনের ১ বছর বয়সী একটি ছেলে ও আছে কিন্তু তারা তাকে ও কিছু খেতে দেয়নি তখন আমি তাকে ( বোন কে) সেখানে রেখে আসি ।
নির্যাতনের ভুক্তভোগী শ্যামলী রানী দাস সাংবাদিকের বলেন বিয়ের কিছুদিন পর তারা আমাকে অমানবিক নির্যাতন শুরু করে কিন্তু আমি কিছু বলি না সব সহ্য করে আসছিলাম কিন্তু দিনদিন আমার উপর তাদের এই নির্যাতন বেড়েই চলছে তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাকে নির্যাতন করে এবং আমার বড় বোনের সামনে ও তারা আমাকে অমানবিক নির্যাতন করে ঘরে তালা বন্ধ করে রাখে তখন আমার বড় বোন আমার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আমাকে রেখে চলে যায়। তিনি আরো বলেন যে গত বুধবার সামান্য বিষয় নিয়ে আমার স্বামী, শাশুড়ি, শ্বশুর ও ছোট জা মিলে তারা আমাকে নির্যাতন শুরু করে রাতে ঘরে তালা বন্ধ করে রাখে এবং সকালে আমাকে তারা কিছু খেতে ও দেয় নি আর আমার বাচ্চার জন্য খাবার চাওয়াতে তারা আবারো আমার উপর নির্যাতন শুরু করে বিবস্ত্র করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় তখন অন্য এক ভদ্র লোক আমার এমন অবস্থা দেখে সহ্য করতে না পেরে তার বাড়ি থেকে কাপড় এনে আমায় দেয় আর রবি দাস নামে একজন আমার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তখন তিনি তার বাসায় নিয়ে আসে এবং আমার বাচ্চাকে খাবার কিনে দেয় আর আমাকে আশ্রয় দেন। আর আমি আপনাদের মাধ্যমে এর একটা ফয়সালা করতে চাই । এঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য এলাকার কয়েকজন লোকের কাছ থেকে এবিষয়ে চানতে চাইলে তারা সাংবাদিকদের পাশ কাটিয়ে চলে যায় তবে নাম না বলা শর্তে কয়েকজন বলেন যে এমন ভাবে কেউ বাড়ির গৃহবধূকে করে নাকি তারা তাদের গৃহবধূকে যেভাবে নির্যাতন করে অন্য কোন গৃহবধূ হলে বাড়ি থেকে চলে যেত কিন্তু গতবুধবার যেভাবে ঔ গৃহবধূর সাথে নির্যাতন করা হয়েছে সেটা আসলে মেনে নেয়ার মতো নয় কারন ইজ্জত নারীর বড় সম্মান কিন্তু তারা সেই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় । এদিকে নির্যাতনের শিকার শ্যামলী দাস কে আশ্রয় দাতা রবি দাস বলেন এই মেয়ে আমার বড় শালীর মেয়ে আর আমার প্রতিবেশি বড় ভাইয়ের ছেলের বৌ তারা এতো দিন মেয়েটিকে যেভাবে নির্যাতন করে আসছিলো আমি জানার পর তাদের মিমাংসা করে দিয়ে আসছিলাম কিন্তু বুধবার যে ঘটনা হয়েছে তা কিন্তু মেনে নেয়ার মতো নয় কারন তারা তাদের গৃহবধূ কে বিবস্ত্র করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়, এমন দৃশ্য দেখে সহ্য করতে না পেরে এক ভদ্র লোক বাসা থেকে কাপড় এনে তাকে দিলে সে ( শ্যামলী) তার ইজ্জত রক্ষা করে রাস্তায় দাড়িয়ে ছিলো আর এঘটনা শুনে আমি সাথে সাথে তার কাছে গিয়ে তাকে আমার বাসায় নিয়ে আসি আর তার বাবাকে বিষয়টি অবগত করি এবং এখন পযন্ত তারা তাদের গৃহবধূর কোন খোঁজখবর নেয়নি যে মেয়ে টি কোথায় গেল কেমন আছে আর কি খাচ্ছে বা বাচ্চাটাকে কি খাওয়াচ্ছে । ভুক্তভোগী শ্যামলীর বাবার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন আমি আমার মেয়ের উপর অমানবিক নির্য়াতনের বিচার চাই আর আমি তাদের কঠোর একটি ব্যবস্থা নিব কারন তারা কিভাবে তাদের গৃহবধূ কে ( আমার মেয়ে কে) বিবস্ত্র করে বাড়ি থেকে বের করে দিলো।
এদিকে অভিযুক্তদের সাথে কথা বলার জন্য তাদের বাড়ি গেলে সাংবাদিকদের দেখে তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় এবং মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলে ও তারা ফোন ধরেনি। এবিষয়ে উক্ত ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জনাব মোহাম্মদ মোসলেম এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন আমি এখন পযন্ত কোন অভিযোগ পাইনি বা কেহ এবিষয়ে আমাকে অবগত ও করে নি তবে মেয়েটির বাবার বাসার কেহ যদি আমাকে অবগত করে তাহলে আমি বিষয়টি দেখবো। এদিকে বালা গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব আহম্মেদ হোসেন ভেন্ডার বলেন এর আগে ও আমি তাদের এই বিষয় গুলো নিয়ে গ্রাম্যশালীসে তাদের বিষয় গুলো মীমাংসা করে দেই এবং আপনাদের মাধ্যমে যে বিষয়টি জানতে পারলাম আসলে সেটি একটি ন্যাংকার জনক ঘটনা তবে তারা কেহ যদি আমাকে এবিষয়ে অভিযোগ দেয় তাহলে বিষয় টি নিয়ে আমি বসবো। এবিষয়ে জলঢাকা থানার ওসি জনাব ফিরোজ কবিরের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমরা এবিষয়ে এখন পযর্ন্ত কোন অভিযোগ পাইনি বা কেহ অভিযোগ দিতে ও আসে নি তবে কেহ অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে আমরা এবিষয়ে ব্যবস্থা নিব।
Leave a Reply