সুজন চক্রবর্তী, আসাম (ভারত) প্রতিনিধিঃ-
স্ত্রী, ছেলে এবং গাড়ি ফেরত দেওয়ার দাবিতে বুকে পোস্টার সেঁটে ধর্নায় বসেছেন যুবক। এই ছবি দেখা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ার শান্তিপুরে। তাঁর অভিযোগ, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে স্ত্রীর। সেই কারণে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর সঙ্গে বনিবনা নেই। চলছে আইনি লড়াই ও। ওই যুবকের দাবি, স্ত্রীকে খোরপোশ বাবদ লক্ষাধিক টাকা দিয়েছেন তিনি। অথচ স্ত্রী তাঁর গাড়ি আটকে রেখেছেন বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না তাঁর একমাত্র পুত্র সন্তানের সঙ্গে ও। এই সমস্ত দাবি পোস্টারে লিখে রবিবার সকাল থেকে ধর্না শুরু করেন ওই যুবক। যদিও তাঁর তোলা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাঁর স্ত্রী। নদিয়ার বাসিন্দা ওই যুবক পেশায় গ্যাসের ডেলিভারি বয়। ১০ বছর আগে সমন্ধ করে তাঁর বিয়ে হয়েছিল শান্তিপুরের এক তরুণীর সঙ্গে। তাদের ৭ বছরের একটি পুত্রসন্তান আছে। যুবকের অভিযোগ, বছর খানেক আগেই স্ত্রী কিছু হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট তাঁর নজরে আসে। ওই যুবকের দাবি, এরপরই প্রকাশ্যে আসে স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। তারপর থেকে বাপের বাড়িতে থাকেন ওই যুবকের স্ত্রী। বিষয়টি নিয়ে তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন ওই যুবক। বিভিন্ন দাবি নিয়ে রবিবার সকাল থেকে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন ওই যুবক। তাঁর কথায়, ” বারবার বলেও কোনও কাজ হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছি। ফিরলে এখান থেকে স্ত্রী এবং সন্তানকে নিয়েই ফিরব।” ওই যুবকের ধর্নায় বসতে দেখে ভিড় জমাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। যদিও এতে মন গলেনি তাঁর স্ত্রীর। তরুণীর অভিযোগ তুলেছেন, স্বামীর সমস্ত কথাই সাজানো। প্রতিবেশীরা বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে চিঁড়ে ভেজেনি। রানাঘাট পুলিশ সুপার কে কান্নান জানিয়েছেন, বিষয়টির উপরে নজর রাখা হচ্ছে। নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
Leave a Reply