কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ-
কক্সবাজারের টেকনাফের নাজিরপাড়ার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যাবসায়ী সিদ্দিক আহম্মদ ওরফে ব্ল্যাকার সিদ্দিক এর পুত্র ফরিদুল আলম ওরফে ফরিদ ডাকাত ও রবিউল আলম সহ পুরো পরিবার ইয়াবা ব্যাবসা সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে জড়িত।রবিউল আলম ও ফরিদুল আলম ইয়াবা গডফাদার হামজালাল এর আপন ভাগিনা।হামজালাল তার পেশীশক্তির অপব্যবহার করে তাদেরকে নিয়মিত সহযোগিতা করে আসছে।অনুসন্ধানে জানা গিয়েছে যে, মায়ানমার থেকে ইয়াবা নিয়ে এসে ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে নানান কৌশলে পাচার করে।ইয়াবা ব্যাবসা করে বনে গেলেন শত কোটি টাকার মালিক।ঢাকা,চট্টগ্রাম, কক্সবাজার সহ নানাবিধ স্থানে একাধিক বাড়ি ও গাড়ির মালিক হয়ে গেলেন। অল্প সময়ে আংগুল ফুলে কলাগাছ, কলাগাছ ফুলে বটগাছ এবং বটগাছ ফুলে জোড়া বটগাছ হয়েছেন।তাদের এইসব অনৈতিক কাজে কেউ বাধা দিতে গেলে হুমকি, মারধর বা প্রয়োজনে খুন করতেও পিছপা হননা।এমনকি তাদের অনৈতিক কাজে বাধা প্রদান করায় ২০১৫ সালে প্রকাশ্য দিবালোকে আজিজুল হক ওরফে মার্কিন কে হত্যা করে তার স্ত্রী কে বিধবা ও তিনটি সন্তান কে এতীম করে।তার এতীম সন্তানেরা আজ খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছে।আজ ৮ টি বছর অতিবাহিত হলেও মামলাটি জেলা ও দায়রা জর্জ আদালতে বিচারাধীন রয়েছেন।তাদের নিজ এলাকায় বাড়ি সহ প্রায় ৪ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। এবং টেকনাফ পৌরসভায় ৪ নাম্বার ওয়ার্ড এর অলিয়াবাদ নামক স্থানে আবহাওয়া অফিস সংলগ্ন ৫০ লক্ষ টাকার জমি ক্রয় করে ৫ তলা ফাউন্ডেশন দেয়া ভবনের ২ তলা সম্পন্ন হয়েছে।তাদের অপকর্মের কোন শেষ নেই।ব্ল্যাকার সিদ্দিক একজন চাঁদের গাড়ির হেল্পার ছিল।তার ছেলে ফরিদুল আলম ও চাঁদের গাড়ির হেল্পার ছিল। এত অল্প সময়ে এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির উৎস কি? তাদের কোন বৈধ আয়ের উৎস নেই।পুরো পরিবার ইয়াবা ব্যাবসা করে এই বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পত্তির মালিক বনে গেছেন।
সর্বশেষ গত ২৫ মার্চ ২০১৮ ইং তারিখে একটা পতাকা লাগানো র -দ ফ্ল্যাগ স্ট্যান্ড ও উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তার পরিচয় দানকারী সরকারি লোগো লাগিয়ে ইয়াবা নিয়ে আসার সময় সি এম পি কর্ণফুলি থানার পুলিশের হাতে ৫০০০০ ইয়াবা সহ ব্ল্যাকার সিদ্দিকের আপন ভাতিজা জসিমউদদীন কে আটক করতে সক্ষম হয়।এইসময় ইয়াবা ব্যাবসায়ী সিদ্দিক ও তার দুই ছেলে রবিউল, ও ফরিদুল পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।এমনকি আটক জসিমউদদীন আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দি তে বলেন এই ইয়াবার প্রকৃত মালিক সিদ্দিক আহম্মদ ও তার দুই পুত্র ফরিদুল আলম, ও রবিউল আলম।সম্প্রতি উক্ত মামলাটি সি আই ডি এর হাতে গেলে তাদের তদন্তে উঠে এসেছে কোটি কোটি টাকার লেনদেনের হিসাব।সি আই ডি সুষ্ঠু তদন্ত করে মানিলান্ডারিং মামলা রুজু করেছেন। আটক হওয়া সিদ্দিকের ছেলে রবিউল আলম ওরফে ইয়াবা রবিউল এর বিরুদ্ধে ঢাকা সহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা চলমান আছে।এমনকি উক্ত রবিউল বিভিন্ন ছদ্মবেশে, কখনো প্রশাসনিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কখনো সাংবাদিক বা কখনো আইনজীবী পরিচয় দিয়ে ছদ্মবেশে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যাবসা করে আসছে।এবং দীর্ঘ ১ যুগ ইয়াবা সহ বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্ট মাথায় নিয়ে প্রশাসন কে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে আইনের আইনের তোয়াক্কা না করে ইয়াবা ব্যাবসা চালিয়ে আসছিলেন। অবশেষে ১৪-৪-২০২৩ তারিখে কক্সবাজার র্যাব ১৫ এর একটি চৌকস টিম তার কলাতলির গোপন আস্তানা থেকে রবিউল কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এই ইয়াবা ব্যাবসায়ীর গ্রেফতারে আনন্দে আত্মহারা টেকনাফবাসি র্যাব ১৫ কে সাধুবাদ জানিয়েছেন ও তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
Leave a Reply