নাসির উদ্দিন, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ-
পটুয়াখালীর গলাচিপায় গোলখালী ইউনিয়নবাসীকে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা জানালেন আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার ও প্যানেল চেয়ারম্যান ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. দুলাল প্যাদা। ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ মানে খুশী। রমজান মাস সিয়াম সাধনার মাস। আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গোলখালী ইউনিয়নবাসীকে আগাম ঈদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। এ বিষয়ে রবিবার (১৬ এপ্রিল) প্যানেল চেয়ারম্যান ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. দুলাল প্যাদার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে উৎসব, ঈদ মানে সাম্য, ঈদ আমাদের খুশির বার্তা নিয়ে হাজির হয়, ঈদ মুসলমানদের জন্য এক আনন্দঘন দিন। এ আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে সবার মাঝে, সারা বিশ্বে। ঈদ শান্তি, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধের অনুপম শিক্ষা দেয়। হিংসা ও হানাহানি ভুলে মানুষ সাম্য, মৈত্রী ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়। পবিত্র ঈদুল ফিতর এই আনন্দঘন দিনে মানুষে মানুষে প্রীতি ও বন্ধনের যোগসূত্রের মাধ্যমে দূর হয়ে যাক সকল অনৈক্য, বিভেদ। “ঈদ মুসলমানদের জীবনে অনাবিল শান্তি ও আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে মাহে রমজানের শেষের পথে। পবিত্র রমজান মাসে তাই মসজিদে মসজিদে ইফতার দিয়ে মুসুল্লীদের সাথে রোজার কষ্ট উপলব্দি করার চেষ্টা করছি। ঈদের ইউনিয়নবাসীর কষ্ট লঘবের জন্য জেলে নামের চাল, ১০ টাকা কার্ডের চাল বিতরণ করা হয়েছে। আগামীকালকে টিসিবির পণ্য ও ঈদ উপহার ১০ কেজি করে চাল দেয়া হবে।ঈদের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। তাই গোলখালী ইউনিয়নবাসীকে আগাম ঈদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা সবাই মিলেমিশে আমাদের ইউনিয়নসহ দেশকে গড়ে তুলি এটাই আমার আহবান। এ বিষয়ে গোলখালী ইউনিয়নের বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, এক মাস সিয়াম সাধনা শেষের পথে। রহমাত ও মাগফিরাত শেষ হয়েছে। নাজাতের ১০ দিন এখন অতিবাহিত হচ্ছে। তার পরে পবিত্র ঈদুল ফিতর আমাদের দ্বারে উপস্থিত হবে। ঈদুল ফিতর আমাদের মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার মাধ্যমে আত্মসূদ্ধী ও একে অপরের দুঃখ, কষ্ট ভাগাভাগি করার এবং ভ্রাতিত্বপূর্ণ বন্ধনে আবদ্ধ হতে শিক্ষা দেয়। আমাদের সর্ব বৃহৎ উৎসব হচ্ছে ঈদ, প্রতি বছর রমজানে মাসব্যাপী রোজা রাখার পর আমাদের মাঝে আনন্দ আর অনাবিল খুশীর বার্তা নিয়ে চলে আসে ঈদুল ফিতর। এই ঈদুল ফিতরের আনন্দ ও খুশি ছড়িয়ে পড়–ক গোলখালী ইউনিয়নসহ সারা দেশের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের মাঝে। ঈদুল ফিতরের উৎসবকে ঘিরে মুসলিমদের মাঝে হিংসা-বিদ্বেষ, অন্যায়-অবিচারসহ সবকিছু মুছে গিয়ে তৈরি হোক ভ্রাতৃত্ববোধ, মানবতা ও সহানুভূতি। তিনি আরো বলেন, সাধারণ মানুষের দোয়া ও ভালোবাসায় আমি কৃতজ্ঞ। হে আল্লাহ তোমার কাছে চাওয়া, আমাকে যেন হিংসা কিংবা অহংকার স্পর্শ করতে না পারে। আমার দ্বারা কখনো যেন কোন মানুষ কষ্ট না পায়, ক্ষতিগ্রস্থ যেন না হয়। আমি চিরদিন যেন সাধারণ মানুষকে ভালোবাসতে পারি। আমার ইউনিয়নের মানুষদেরকে এরই মধ্যে জেলে চাল, ১০ টাকার ন্যায্য মূলের চাল দেয়া হয়েছে। ঈদ উপহার ও টিসিবির পণ্য দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। আশা করি আগামীকালই দিতে পারব। সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন। সকলকে আবারো আগাম পবিত্র ঈদুল ফিতরে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইল।
Leave a Reply