সুজন চক্রবর্তী, আসাম ( ভারত)প্রতিনিধিঃ-
ভারতের গুজরাটের সুরাট নগর দায়রা আদালতে ও বিরাট ধাক্কা খেলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। মানহানির মামলায় নিম্ন আদালতের দেওয়া রায়ে স্থগিতাদেশ চেয়ে যে আর্জি তিনি জানিয়েছিলেন, সেই আর্জি খারিজ করে দিল সুরাটের নগর দায়রা আদালত ও। ফলে এখনই সাংসদ পদ ফেরত পাচ্ছেন না রাহুল। উল্লেখ্য, অপরাধমূলক মানহানির মামলায় গত ২৩ শে মার্চ রাহুল গান্ধীকে ২ বছরের কারাদণ্ড দেয় সুরাটের নিম্ন আদালত। সুরাট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের সেই সিদ্ধান্তের জেরে একদিন পরেই সাংসদ পদ খোয়াতে হয় প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে। যদিও সাজা শোনানোর পরই রাহুলকে ৩০ দিনের জন্য শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়। একই সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়, এই ৩০ দিনের মধ্যে উচ্চতর আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করার ও সুযোগ পাবেন তিনি। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুরাটের নগর দায়রা আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন রাহুল। গত ১৩ ই এপ্রিল সেই মামলার শুনানি হয় নগর দায়রা আদালতে। শুনানিতে রাহুলের দাবি ছিল, তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়ে প্রভাবিত হয়ে অতিরিক্ত শাস্তি দিয়েছে নিম্ন আদালত। বিচারক পি মোগেরা যিনি কিনা একসময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আইনজীবী হিসেবে ও কাজ করেছেন, সেদিন মামলার রায় দান স্থগিত রাখেন। বৃহস্পতিবার মামলার রায়ে রাহুল স্বস্তি পেলেন না। তাঁর শাস্তি খারিজ হওয়া বা কমা কোনওটাই হল না। যার অর্থ এখনই সাংসদ পদ ফেরত পাচ্ছেন না তিনি। যদিও আরও উচ্চতর আদালতে আবেদন করতে পারবেন কংগ্রেস সাংসদ। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ জানিয়ে ও দিয়েছেন, আগামী দিনে সমস্ত রকম আইনি পদক্ষেপ করবে দল। সাংসদ পদ ফিরে না পাওয়ার অর্থ রাহুলকে এবার দিল্লির সরকারি বাংলো ছাড়তেই হবে। তাঁর কাছে ২৩ শে এপ্রিল পর্যন্ত সময় আছে। সাংসদ পদ খোয়ানোর পর চিঠি দিয়ে ৪ সপ্তাহের মধ্যে রাহুলকে বাংলো ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী এরপরও বাংলো খালি করতে অতিরিক্ত সময় পেতে পারেন কংগ্রেস নেতা। যদিও দলীয় সূত্রে প্রকাশ, তা করবেন না রাহুল। ইতিমধ্যেই দিল্লির বাড়ি ছাড়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন তিনি। সম্ভবত, ২৩ শে এপ্রিলের আগেই দিল্লির সরকারি বাংলো ছাড়বেন তিনি।
Leave a Reply