উম্মে কুলসুম মৌ,দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ-
দিনাজপুর জেলার প্রধান অর্থকরী ফসলের তালিকায় ভুট্টা অন্যতম প্রধান।বর্তমানে পোলট্রি খাত,হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশুর এবং মানুষের খাদ্য তালিকায় ভুট্টার ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় এর চাহিদা ব্যাপকভাবে বাড়ছে।রবি মৌসুমে অক্টোবর মাসের প্রথম থেকে নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে ভুট্টার চাষাবাদ শুরু করে কৃষকেরা।গত বছর ভুট্টার দাম বাজারে বেশি থাকার কারণে ভুট্টাচাষীরা ব্যাপক লাভবান হয়েছে।তাই এ বছর অনেকে উৎসাহিত হয়ে আরও ব্যাপক হারে ভুট্টা আবাদ করেছে।আগে যেসব জায়গায় গম আবাদ হতো এখন সেসব জায়গা ছেয়ে গেছে ভুট্টার আবাদে।দিনাজপুর জেলার প্রায় সব উপজেলার অধিকাংশ মানুষ ভুট্টা আবাদ করেছে লাভবান হওয়ার আশায়।জমি চাষাবাদের জন্য দিতে হয়েছে তিনবার সেচ।জমিতে ব্যবহার করতে হয়েছে জৈব সার,ইউরিয়া,ফসফেট ও পটাশ।ভুট্রা ঘরে তুলে অনেকটা লাভবান হবে এই আশায় কঠোর পরিশ্রমও করেছে হাসিমুখে তারা।তাদের অক্লান্ত শ্রমে ফলনও হয়েছে বাম্পার।মোচা চকচকে হওয়ার পর খড়ের রং ধারণের পর ভুট্টা ছেঁড়া হয়েছে গাছ থেকে।এরপর ৪-৫ দিন রোদে শুকিয়ে মাড়াই মেশিন দ্বারা দানা ছাড়ানোর পর বিক্রির জন্য প্রস্তুত হয় কৃষকেরা।
কিন্তু এ বছর ভুট্টার আশানুরূপ দাম পাচ্ছে না চাষীরা।মাত্র এক মাসের ব্যবধানে ভুট্টার দাম প্রতি কেজি দরে কমে দাঁড়ায় ২৩-২৪ টাকা।এতে চাষীরা নিরাশায় ভোগে।বেশি দামে সার ও কীটনাশক ব্যবহার করে চাষাবাদ করতে হয়েছে তাদের।এখন সঠিক মূল্যে বিক্রি করতে না পারলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে বলে এতে তারা আতংকিত।ইতিমধ্যে অনেকেই আগাম আবাদে ভুট্টার বিক্রি সেরেছে আবার অনেকের এখনও মাঠ থেকে ভুট্টা সংগ্রহের কাজ চলছে।এরই মধ্যে তীব্র দাবদাহ ও শিলাবৃষ্টিও প্রভাব ফেলেছে যথেষ্ট।আবহাওয়ার কারণে ভুট্টার রং ও মান খারাপ হওয়ার আশংকাও রয়েছে।এসব কারণে এতদিনের শ্রম ও খরচার পর অবশেষে পর্যাপ্ত দাম না পাওয়ায় অনেকটা দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তাদের।
Leave a Reply