সুজন চক্রবর্তী, আসাম( ভারত) প্রতিনিধিঃ-
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জঙ্গিদের আনাগোনার খবর পেয়ে কাশ্মীরের বারামুলায় যৌথ অভিযান শুরু করেছিল সেনা এবং পুলিশের একটি দল। শনিবার সকালে সেই যৌথ অভিযানেই গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে এক লস্কর জঙ্গির। বারামুলা জেলার কারহামা কুঞ্জর এলাকায় শনিবার ভোর থেকে শুরু হয় সন্ত্রাস দমন অভিযান। পুলিশ এবং সেনাবাহিনী ওই এলাকা ঘিরে ফেলতেই জঙ্গিরা গুলি ছুড়তে শুরু করে। যৌথ বাহিনী এবং জঙ্গিদের মধ্যে শুরু হয় গুলির লড়াই। দীর্ঘ লড়াই শেষে মৃত্যু হয় ওই লস্কর জঙ্গির। বাকিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তাদের সন্ধানে এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। সেনার সূত্রে প্রকাশ, প্রথমে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু জঙ্গিরা হঠাৎই গুলি চালাতে শুরু করে। পাল্টা গুলি চালায় সেনা এবং পুলিশের যৌথ বাহিনীও। সেনার এক শীর্ষ আধিকারিক আমোদ অশোক নাগপুরে একটি বিবৃতি জানিয়েছেন, মৃত জঙ্গির বাড়ি দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলায়। সে দীর্ঘদিন যাবৎ জঙ্গি গোষ্ঠী লস্করের সঙ্গে যুক্ত ছিল। কিছুদিন পরেই জি-২০ সম্মেলনের আসর বসবে কাশ্মীরে। এই সম্মেলনের আয়োজক দেশ হিসেবে ভূস্বর্গের সৌন্দর্যকে বিদেশি অতিথিদের সামনে তুলে ধরতে চাইছে ভারত। তবে সেনার তরফে জানানো হয়েছে, বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিরা উপত্যকারকে অশান্ত করতে চাইলেও জি২০ সম্মেলনে তার কোনও প্রভাব পড়বে না। শুক্রবার সকালেই জম্মুর রাজৌরি সেক্টরের কান্দি জঙ্গলে সন্ত্রাসদমন অভিযানে সেনা জওয়ানদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে জঙ্গিরা। বিস্ফোরণের আভিঘাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ২জন সেনা আধিকারিকের। পরে আরও ৩ জন নিহত হন। তাঁদের মধ্যে আছেন দার্জিলিংয়ের বিজন বাড়ির বাসিন্দা সিদ্ধান্ত ছেত্রী ও।
Leave a Reply