দৈনিক প্রতিদিনের বার্ত,ডেস্ক রিপোর্টঃ-
সাংবাদিকদের সোর্সের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সোর্সের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে সাংবাদিকতা স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারেনা। সংশ্লিষ্ট ঘটনা পুরোপুরি নিশ্চিত না হয়ে কোন সংবাদ প্রকাশ করা যাবেনা। যেকোন মূল্যে সোর্সকে নিরাপদ রাখতে হবে; নয়তো আপনি সংবাদ থেকে বঞ্চিত হবেন। যতটুকু ঘটনা ততটুকুই সংবাদ। তিলকে তাল করাকে সংবাদ বলেনা। রংচঙয়ে ভরা, মুখরোচক ঘটনা অপ-সাংবাদিকতার সামিল। নীতি নৈতিকতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার মাঝে সাংবাদিকতা করতে হবে। সিনিয়র-জুনিয়রদের মধ্যে চলমান মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে। এক্ষেত্রে সিনিয়রদের এগিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন রিসোর্স পারসনরা।
জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহ উপলক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের দক্ষ, সাহসী ও কৌশলী করে গড়ে তুলতে তিনদিন ব্যাপী ফ্রি-প্রশিক্ষণ কর্মশালায় শুক্রবার (০৫ মে) দিবাগত রাতে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় কথাগুলো বলেছেন।
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের আয়োজনে ৪ মে সারাদেশের ২শ সাংবাদিককে নিয়ে কোর্সটি শুরু হয়। ৬মে কোর্সটির সমাপনী অনুষ্ঠিত হবে। সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক সাংবাদিকতায় নীতি নৈতিকতা, গঠনমূলক আধুনিক সাংবাদিকতা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সচেতনতা সৃষ্টি, গুজব ঠেকাতে করণীয় বিষয়ক ধারণা দেয়া হয়।
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর এতে সভাপতিত্ব ও মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন।
রিসোর্স পারসন হিসেবে অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি ও বিএমএসএফের আইন উপদেষ্টা এ্যাড. কাওসার হোসাইন, ট্রাস্টিবোর্ডের সদস্য মোস্তাক খান, গণমাধ্যম বিষয়ক গবেষক ও প্রবাসী সাংবাদিক ড. মুজিবুর রহমান দফতরী, বাংলাদেশী পতাকাবাহী বিশ্ব পরিব্রাজক নাজমুন নাহার, ঢাকা পোস্টের কান্ট্রি এডিটর মাহবুবুর রহমান, আমাদের সময়ের মেহেদী হাসান, বিএমএসএফের আইটি প্রধান ও গবেষক ড. তাওহীদ হাসান, আইটি উপ-প্রধান হাসানুর রহমান সুমন, মানবকন্ঠের আসাদুজ্জামান সাজু বিভিন্ন বিষয়ের ওপর সেশন পরিচালনা করেন।
গণমাধ্যম সপ্তাহ উপলক্ষে সংগঠনটি নানা কর্মসূচী গ্রহন করেছে। কর্মসূচীর মধ্যে শাখাসমুহের অংশগ্রহণে ১৪ দফার স্বপক্ষে প্রচার প্রচারণা, সাংবাদিক প্রশিক্ষণ, আলোচনাসভা, গুণীজন সম্মাননা, সেরা, সাহসী ও প্রবীণ সাংবাদিকদের সম্মাননা, সেরা শাখা ও সেরা সংগঠকের সম্মাননা, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নতুন সদস্য সংগ্রহ। এ সকল কর্মসূচী সফল করতে শাখা সমূহের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের সনদপত্র আগামী ২০ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য আয়োজনে বিতরণ করা হবে বলে আয়োজক সংস্থা বিএমএসএফের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। সংগঠনটি ইতিপূর্বে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে ১ হাজার সাংবাদিককে বুনিয়াদি ও ৩শ জনকে সাংবাদিকতায় লিডারশীপ প্রশিক্ষণ প্রদান করে। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের ট্রাস্টিবোর্ডের সদস্য, জাতীয় পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা সাংবাদিকদের কন্ঠরোধী ৩২ ধারা বাতিলসহ সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে বাঁধাগ্রস্থ করে এমন ধারা সকল সাংবাদিক সংগঠন নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে চিহ্নিত করে সংশোধন করতে অনুরোধ জানান।
এছাড়া সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়ন করে আইডি কার্ড প্রদানসহ জাতীয় গণমাধ্যম সপ্তাহের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি তোলেন।