দেশের অপরাধ বিষয়ক সাংবাদিকদের প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে গতকাল বিকেলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে 'সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় ক্রাইম রিপোর্টারদের ভূমিকা' শীর্ষ আলোচনা সভা ,গুণীজন সম্মাননা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয় । বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির সভাপতি আলী আশরাফ আখন্দের সভাপতি কে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক নাসিম। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পীরজাদা শহিদুল হারুন। অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ও দৈনিক নিওরোজ পত্রিকার সম্পাদক ক্রাইম রিপোর্টার শামসুল হক দুররানী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক দৈনিক নতুন সময়ের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সুমন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ এ এস এম রফিকুল ইসলাম, দৈনিক রুপবানী সম্পাদক ফারুক আহমেদ, দৈনিক দিন প্রতিদিন সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম সাদ্দাম, দৈনিক পাঞ্জেরী পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক তালুকদার রুমি , সিনিয়র সাংবাদিক গাফফার মাহমুদ,সাপ্তাহিক অর্থ ধারা সম্পাদক আব্দুল মান্নান বাবু, রমনা জোনের পুলিশ ইনচার্জ মামুনুর রশিদ। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হেমায়েত হোসেন, শহিদুল ইসলাম ,ওয়াহিদ মুরাদ প্রমুখ সাংবাদিকবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ নিজামুল হক নাসিম বলেছেন, চ্যালেঞ্জিং প্রফেশন সাংবাদিকতা করতে গিয়ে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে বহু সাংবাদিক নিগৃহীত হচ্ছে। তারা অনেক সময় মামলা হামলার শিকার হচ্ছেন এবং বিভিন্ন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছেন যা আমাদের কাম্য নয়। বিশেষ ক্ষমতা আইন যেমন কখনো বাতিল করা হয় না, ক্ষেত্রবিশেষে প্রয়োগ করে করা হয়। ঠিক তেমনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ক্ষমতা প্রয়োগ করে বেশিরভাগ সাংবাদিকদের ই তাদের কার্যক্রমে বাধাগ্রস্থ করা হচ্ছে এবং তাদের বিরুদ্ধে এই আইন প্রয়োগ করে জেল জরিমানা করা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাধারণ জনগণের চাইতে সাংবাদিকরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এই আইনে ক্ষমতার বিধান রোহিত করা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে চারজন বিশিষ্ট সাংবাদিককে আজীবন সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়। এছাড়া সংগঠনের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটি পদক প্রদান করা হয়। চলচ্চিত্র শিল্পীদের সমন্বয়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে দেশের প্রতিটি জেলা- উপজেলায় সংগঠনের কার্যক্রম বৃদ্ধির লক্ষ্যে কমিটি গঠন করার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হেমায়েত হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহবায়ক ছিলেন সুমন চৌধুরী। আলোচনা সভা শেষে গুনিজন সম্মাননা প্রদান করা হয় এতে সফল কাউন্সিলর হিসেবে সম্মাননা গ্রহন করেন ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন এর ৩৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজি মো: আউয়াল হোসেন, সমাজ সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা গ্রহন করেন, মৌচাক মার্কেটের পরিচালক মোস্তফা কামাল পাশা তাপস, সফল সংগঠক হিসাবে আরিফুর রহমান মাসুম, নারী উন্নয়নে ভুমিকার জন্য তানিয়া ইসলাম, গারমেন্টস এক্সোসরিজ ব্যবসায় বিশেষ অবদানের জন্য আবুল কালাম আজাদ সহ অনেকে। পরিশেষে জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।