সুজন চক্রবর্তী, আসাম ( ভারত) প্রতিনিধিঃ-
একচেটিয়া ভালবেসে বিয়ের প্রস্তাব। রাজি হয়নি দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রী। আর এর জেরে অকালে খুন হল। এমনই লোমহর্ষক হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ার সুন্দলপুর এলাকায়। ধারালো অস্ত্রের কোপে প্রেমিকাকে নৃশংসভাবে খুনের পর থানায় আত্মসমর্পণ করল আততায়ী। মেয়েটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা নিয়ে যান করিমপুর হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে নদিয়ার হোগলবাড়িয়া থানা। জামশেদপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রী ১৮ বছরের মেয়েটি। শনিবার ( ১০ ই জুন) সকালে প্রাইভেট টিউশন পড়ে বাড়ি ফেরার সময়ই ঘটে বিপদ। গ্রামের ব্রজেন মন্ডল নামে একব্যক্তি তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় বলে অভিযোগ। সূত্রে প্রকাশ, ওই এলাকার ব্রজেন মন্ডল( ৪৫) একবছর আগে ছাত্রীকে প্রেমের ও বিয়ের প্রস্তাব দেয়। সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি মেয়েটি। কিন্তু তাতে পিছু হঠেনি ব্রজেন। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তার সঙ্গে অশ্লীল আচরণ ও করে ব্রজেন। সে সময় পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন থানায়। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার ও করে। কিন্তু ছাড়া পাওয়ার পর থেকে আবার ছাত্রীকে সে নানাভাবে উত্যক্ত করতে থাকে বলে অভিযোগ। শনিবার ( ১০ ই জুন) সকালে টিউশন পড়ে বাড়ি ফেরার সময় ফাঁকা জায়গায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ঘাড়ে, হাতে ও কোমরে এলোপাথারি কোপ মারে। এরপরই এলাকার মানুষ তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে যায় করিমপুর হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। ঘটনার পর অভিযুক্ত ব্রজেন মন্ডল হোগোলবাড়িয়া থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে বলে জানা গেছে। এরপর অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। মৃতদেহ উদ্ধার করে আনা হয় করিমপুর থানায়। সেখান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এনিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় শোকে পাথর পরিবার।
Leave a Reply