জান্নাতুল ফেরদৌস জান্নাত,স্টাফ রিপোর্টারঃ-
এক সপ্তাহের ব্যবধানে জিরার দাম কেজিতে বেড়েছে ৭০ টাকার মতো, কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণের বেশি দামে
গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে বেশ কিছু সবজির দাম বেড়েছে। আগের চেয়ে আরও বেড়েছে জিরা ও চিনির দাম। শুক্রবার (২৩ জুন) বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে গত সপ্তাহের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি দামে। তবে এসব পণ্যর দাম বৃদ্ধির কারণ বলতে পারছে না কোনও বিক্রেতাই। তাদের উত্তর সহজ, তারা বেশি দামে কিনেছে বলেই বেশি দামে বিক্রি করছে।
শুক্রবার (২৩ জুন) মিরপুর ১ নম্বরের কাঁচা বাজার সরেজমিন দেখা যায় সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী। গত সপ্তাহে করল্লার দাম ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, আজ তা ৭০ থেকে ৮০। টমেটোর দাম এক সপ্তাহ আগেও ছিল ১০০ টাকা কেজি, এখন সেটা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজিতে। পটল ছিল ৬০ টাকা কেজি, এখন ৭০ টাকার ওপরে। বরবটি ছিল ৭০, এখন ৮০ টাকা কেজি। ধনেপাতা ছিল ১২০ টাকা, এখন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।
গত সপ্তাহে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা কেজি। আজ সেই কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৪০ টাকা কেজিতে। এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে ১২০-১৪০ টাকা। দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে একটি দোকানের কাঁচা মরিচ বিক্রেতা মো. মনির দাম বলেন, এখন উৎপাদন কম হচ্ছে, তাই দাম বাড়তি। তবে কয়েক দিন পরেই আবার দাম কমে যাবে।
এছাড়া আজ দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ টাকা, আদা ৩২০-৩৩০, দেশি রসুন ১৬০ টাকা, ভারতীয় রসুন ১৭০-১৮০ টাকা, আলু ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে
আজকের বাজারে ইলিশ মাছ ১৬০০-১৯০০ টাকা কেজি, রুই মাছ ৪০০-৪৫০, কাতল মাছ ৫০০-৬০০, কালিবাউশ মাছ ৫০০, চিংড়ি মাছ ১০০০, কাঁচকি মাছ ৫০০, টেংরা মাছ ৭০০-৮০০, কৈ মাছ ২৫০, পাবদা মাছ ৫০০ টাকা, শিং মাছ ৬০০ কেজি। এছাড়া ব্রয়লার মুরগি ১৭৮-১৮০, কক মুরগি ২৩০-২৩৮, দেশি মুরগি ৬০০, গরুর মাংস ৭৭০-৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া মুদি দোকান ঘুরে জানা যায়, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম রয়েছে প্রায় অপরিবর্তিত। যদিও বেড়েছে জিরা ও চিনির দাম। আজ জিরা বিক্রি হচ্ছে ৯২০ টাকা কেজিতে। গত সপ্তাহে যা বিক্রি হয়েছিল ৮৫০ টাকায়। চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকায়। গত সপ্তাহে যা ছিল ১৩০ টাকা।
বেশিরভাগ মাছের দাম নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে
নোয়াখালী জেনারেল স্টোরের বিক্রেতা মামুন বলেন, গত সপ্তাহে আমি জিরা কিনেছিলাম ৮৩০ টাকায়, বিক্রি করেছি ৮৫০ টাকায়। আজ আমার কেনা ৯০০ টাকা আর বিক্রি করছি ৯২০ টাকায়। ঈদের আগে আর দাম কমবে না। কমলে একেবারে ঈদের পরে কমবে। এখন সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে রেখেছে।
চাল-ডাল বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই
এছাড়া অন্যান্য পণ্যের দাম রয়েছে আগের মতোই। ডালের দাম রয়েছে আগের মতোই। মসুরের ডাল ১৩০ টাকা, মুগ ডাল ১২০ টাকা, খেসারি ডাল ৮০ টাকা, বুটের ডাল ৯৫ টাকা, ছোলা ৮৫ টাকা, আটা ১৩০ টাকা (২ কেজির প্যাকেটে), খোলা ময়দা ৬৩ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৭৫ টাকা, প্যাকেট সয়াবিন তেল ১৮৯ টাকা, খোলা সরিষার তেল ২৫০ টাকা লিটার।