আরিফ মিয়া,স্টাফ রিপোর্টারঃ-
সিদ্ধিরগঞ্জে ৯ বছরের শিশু ছেলের খেলাধুলায় ক্ষিপ্ত নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি মীর কাশেম ভুঁইয়া (৫০) দম্পতিকে রক্তাক্ত জখম করেছে একই বাড়ির ভাড়াটিয়া রনি (৪০) নামে এক গাড়ী চালক। গত শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকাল ৫ টায় সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পাইনাদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন রওশন আলীর বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। ওই ভাড়া বাড়িতে সাংবাদিক মীর কাশেম ভুঁইয়া পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছে।ঘটনার পর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় সাংবাদিক মীর কাশেমকে নারায়ণগঞ্জের খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় একই দিন রাতে সাংবাদিক মীর কাশেম বাদী হয়ে হামলাকারী রনিকে আসামী করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগে সাংবাদিক মীর কাশেম উল্লেখ করেন, শুক্রবার বিকাল ৫ টার দিকে আমার শিশু ছেলে মোঃ তুহিন ইসলাম ভূঁইয়া (৯) বাড়িতে অন্যান্য শিশুদের সাথে খেলা করছিল। এসময় আমাদের প্রতিবেশী মো: রনি তার ঘুমের সমস্যা হচ্ছে অজুহাতে আমার ছেলেকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমার স্ত্রী খোদেজা আক্তার (৩২) তাকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার স্ত্রীকে এলোপাথারী চর-থাপ্পর ও লাথি দিয়া শরীরের বিভিন্নস্থানে নিলা ফুলা জখম করত: আমার স্ত্রীর মাথার চুল ধরিয়া হেচকা টান দিয়া মাটিতে ফেলে দিয়ে তাহার পরিহিত জামা কাপড় টানিয়া ছিরিয়া শ্লীলতাহানী করেন। আমার স্ত্রীর ডাক চিৎকারে আমি আগাইয়া আসিলে রনি আমাকেও এলোপাথারী মারধর করিয়া আমার শরীরের বিভিন্নস্থানে নিলা ফুলা জখম করত: তার হাতে থাক ইট দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথার বাম পাশে আঘাত করিয়া গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। আমাদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসিতে থাকিলে আমাকে ও আমার পরিবারের আত্মীয় স্বজনকে খুন জখম এর হুমকি দিয়া পালাইয়া যায়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আমাকে নারায়ণগঞ্জ খানপুর ৩০০ শয্য হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা কারায়।
এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, এ ঘটনায় থানায় সাংবাদিক মীর কাশেম একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply