সোহেল কবির, স্টাফ রিপোর্টারঃ-
রূপগঞ্জে একটি মসজিদের নামককরণ নিয়ে দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও মসজিদে ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের কামশাইর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের ঘটনায় লুদ্দুছ খা(৬৫), আফাউদ্দিন ভূইয়া(৬৪), সেতারা বেগম(৬০), সোহানা আক্তার(৪০), সোহাগী বেগম (৪২)সহ ৬ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে লুদ্দুছ খা ও আফাউদ্দিন ভূইয়াকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।
জানা গেছে, এদিকে এ ঘটনা জের ধরে রাত ১০টার দিকে হাকিম ভূইয়ার লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মসজিদের সামনে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে তারা মসজিদের হামলা চালিয়ে প্রধান দরজার উপরে টাইলস দিয়ে বসানো নেমপ্লেট, মসজিদের ৪ টি জানালার গ্লাস ভাংচুর করে। এসময় আশে পাশের এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তখন মসজিদে মাইকিং করলে এলাকাবাসী ধাওয়া করে লুৎফর নামে একজনকে আটক করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন। পরে এলাকাবাসী আটককৃতকে পুলিশে সোপর্দ করে। তবে, মসজিদে ভাংচুরের ঘটনাটি একপক্ষ আরেক পক্ষের লোকজনদের পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ রূপগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চত করে রূপগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) আতাউর রহমান বলেন, এই ঘটনায় কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি।
তিনি আরও জানান, বিষয়টি ধর্মিয় ব্যাপার তাই স্থানীয় মুরুব্বি ও পাঞ্চায়েত কমিটির লোকজন আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে নিস্পত্তি করা হবে। ইতিমধ্যে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে নিয়ে তারা বসেছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৭০ বছর পূর্বে কামশাইর দক্ষিনপাড়া গ্রামের আফি ভূইয়া মসজিদ নির্মাণের জন্য ৬ শতাংশ জমি দান করেন। সেই মসজিদে নির্মান করে স্থানীয় লোকজন নামায আদায় করে আসছিল। মসজিদের নামকরণ করা হয় কামশাইর দক্ষিনপাড়া জামে মসজিদ। এদিকে গত ৩ বছর পূর্বে স্থানীয় হাকিম ভূইয়া, নোয়াব ভূইয়া, আফাজউদ্দিন ভূইয়াসহ কয়েকটি পরিবার ওয়াকফা স্টেটের মাধ্যমে মসজিদটির নাম ‘কামশাইর দক্ষিন ভূইয়া পাড়া মসজিদ’ হিসেবে নাম করণের অনুমতি নিয়ে আসে। দুই বছর পূর্বে বর্তমান মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক কবির হোসেস এ অনুমতির বিরুদ্ধে আপিল করেন। বর্তমানে এটা তদন্তাধীন। এদিকে শুক্রবার সকালে মসজিদের বর্তমান কমিটি প্রধান দরজার উপরে টাইলস দিয়ে ‘কামশাইর দক্ষিন পাড়া জামে মসজিদ’ নামকরন নেমপ্লেট বসায়। এ নিয়ে জুমার নামাযের পর হাকিম ভূইয়া, আফাউদ্দিন ভূইয়াসহ কয়েকজন নেমপ্লেট নামিয়ে ফেলার জন্য বললে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।
Leave a Reply