রাজীব মুন্সী,রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ-
রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের ভিতর দিয়ে বেয়ে চলা গাবুরার চরে তিস্তা নদীর বুকে অনুষ্ঠিত হলো গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ খেলা । প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরেও এলাকাবাসীর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় এই নৈৗকা বাইচ খেলা। এবারে ফেন্ড”স ক্লাবের আয়োজনে ছাওলার কৃতি সন্তান এনামুল হক, ফেরদৌস আলম এবং বাদশা প্রামানিক এর সহযোগিতায় আয়োজন করা হয় নৌকা বাইচ ও গ্রামবাংলার মেলা । চার দিন ব্যাপী এ আয়োজনে পীরগাছা, কাউনিয়া, সুন্দরগঞ্জ, উলিপুরসহ আশেপাশের উপজেলার খেলোয়াড়গণ এ নৈৗকা বাইচ খেলায় অংশগ্রহন করেন । সবার দোয়া আশার আলো, তিন বন্ধু এক্সপ্রেস, একাত্তরের মা জননী, জনতার বাধ, সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, তিস্তার তুফান, উড়ন্ত বলাকা, ৭ টি বাইচের দল এতে অংশগ্রহন করে । ৪ঠা সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ৭ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গাবুরার চরের তিস্তা নদীর তীরে ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন পীরগাছা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলন , বিশেষ অতিথী পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হক সুমন , পীরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুমুর রহমান মাসুম, আব্দুল হাকিম মিয়া, সাধারন সম্পাদক ০৫ নং ছাওলা ইউনিয়ন , ছাওলা ইউনিয়ন আওমীলীগের নেতা মতিয়ার রহমান , হাবিবুর রহমান বাদল , দিপু হাসান , সাহাদত হোসেন লিখন, জাহাঙ্গীর আলম সহ অনন্য নেতাকর্মীবৃন্দ। অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন আব্দুর ছবুর আকন্দ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক, উপজেলা আওয়ামীলীগ, পীরগাছা শাখা । প্রথম পুরুস্কার গরু ও দ্বিতীয় পুরুষ্কার খাসি দেওয়ার কথা থাকলেও কমিটির অপারগতার কারনে ফাইনাল খেলায় বিজয়ী দল ঘোষনা করতে পারেন নি খেলা পরিচালনা কমিটি । গ্রামবাংলার এই ঐতিয্যবাহী খেলাটি দেখতে পীরগাছা , কাউনিয়া , সুন্দরগঞ্জ , উলিপুরসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে থেকে লক্ষাধিক লোকের সমাগম হয় গাবুরার চরের তিস্তা নদীর তীরে। তবে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি , এমনটাই জানিয়েছেন পীরগাছা থানার ছাওলা ইউনিয়নের বিট অফিসার এসআই মোঃ সামিউল ইসলাম । প্রতিবছর এ ধরনের খেলার আয়োজন করায় খুশি চর অঞ্চলের সাধারন মানুষ । ডিজিটাল দেশে যখন সবাই আধুনিক ডিভাইসে গেমিংয়ে ব্যাস্ত, তখনও একদল মানুষের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় যুগ-যুগ ধরে চলে আসা এই নৈৗকা বাইচ যেন প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের মানুষের বেচে থাকার অনুপ্রেরণা ও সুস্থ বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম। সাধারণ মানুষের দাবি, বাঙ্গালীর এই ঐতিহ্যবাহী খেলা প্রতিবছর যেন হয়। তাহলেই আমরা টিকিয়ে রাখতে পারব বাঙ্গালীর সংস্কৃতি।
Leave a Reply