আজিজুর রহমান,সিলেট জেলা প্রতিনিধিঃ-
সিলেটের বহুল আলোচিত সুরমা মার্কেটস্থ নিউ সুরমা আবাসিক হোটেলে দীর্ঘদিন থেকে অসামাজিক কর্মকাণ্ড চললেও কোনো এক অদৃশ্য শক্তিবলে প্রকাশ্যে বেড়েছে নারী-পুরুষের যাতায়াত।সময়ের সাথে রং বদলায় নিউ সুরমা হোটেল!বিকেলে পুলিশ অভিযান চালায়,রাতে পূনরায় চলে অসামাজিক কার্যকলাপ।স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মতে এমন অপরাধের ধারা পরিবর্তন করা জরুরী। কারণ গ্রেফতারকৃত খুব সহজইে আইন মোকাবেলা করে পুনরায় এ অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।
গ্রেফতারের পর নৈপথ্যে খলিল ও আব্বাস আলী নিজ পকেটের টাকা খরচ করে দেহজীবিদের মুক্ত করেন। এর বিনিময়ে অদৃশ্য এক বন্ধনে জড়িয়ে নেন দেহজীবিদের। দিনের পর দিন নামমাত্র অর্থে তাদের তুলে দেন খদ্দরের হাতে।
প্রভাবশালী হোটেল ব্যবসায়ীদের পুতুল হয়ে দেহজীবিরা বিকল্প পথ না পেয়ে এমন অনৈতিক অপরাধের সাথে জড়িয়ে রাখে নিজদের।বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় এ হোটেলের বিরুদ্ধে নিয়মিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও যেনো কারো কোনো মাথা ব্যাথা নেই।
হোটেলের মালিক সিলেটের নামকরা এক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান।চেয়ারম্যানের হাত এতোটাই লম্বা,যার কিছুই করতে পারেনা মিডিয়া কিংবা অন্যকোনো সংস্থা।নিউ সুরমা আবাসিক হোটেলের ভেতরে নীরিহ মানুষকে ব্লাকমেইলিংসহ নানা কারণে সংবাদের শিরোনাম হওয়া নিউ সুরমা আবাসিক হোটেলের পরিচালকদের রুখবে কে?তবে মাঝেমধ্যে লোক দেখানো দুএকটি অভিযান চালিয়ে পতিতা-খদ্দেরদের আটক করা হলেও বড় অংকের টাকা পেয়ে আদালতের মাধ্যমে তাদের ছেড়ে দেয়ার ব্যবস্থা করে দেন অসাধু পুলিশ।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে,এই হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ সম্পাদনের জন্য আড়ালে রয়েছে প্রাবশালী মহলের গডফাদার। নাম প্রকাশে অনিচ্চুক এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান,সিলেট নগরে পতিতা ব্যবসা একাধিক হোটেল রয়েছে হোটেলগুলো যেন মিনি পতিতালয়।
সুরমা মার্কেটের কয়েকজন ব্যবসায়ী না প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,স্কুল-কলেজসহ নানা বয়সের নারী-পুরুষ সুরমা আবাসিক হোটেলে উঠতে ও নামতে দেখা যায়। মার্কেটের অন্তত ১০ জন সাধারণ ব্যবসায়ীর সাথে আলাপ কালে।তারা সবাই জানান,এটা এখানকার নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার।এই মার্কেটের ভেতরে বা বাইরে কোথাও মানসম্মান নিয়ে চলার উপায় নেই।
সাধারণ মানুষের মধ্যে যারাই প্রতিবাদ করেন,খলিল আব্বাসের দালালরা তাদের উপরই চড়াও হয়। ধরে নিয়ে নির্যাতন করে ছেড়ে দেয়।জানা গেছে,হোটেল নিউ সুরমা পরিচালনার সাথে যে কুখ্যাত খলিল ও আব্বাস আলী পরিচালনা করছেন। তাদের পেছনে আরও প্রভাবশালী চক্র আছে বলেও জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ীরা।হোটেল নিউ সুরমা আবাসিক এখন অপরাধীদের আস্তানা হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে।
আলোচিত একটি হত্যা মামলার আসামি খলিল তার মাদক কেনাবেচা,ব্ল্যাকমেইল,পতিতা, জুয়াসহ সব কুকীর্তি হোটেল নিউ সুরমায় হচ্ছে। প্রায়ই পুলিশী অভিযানে গ্রেফতার হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন,আগে সিলেটের এই সুনামধন্য মার্কেটে প্রতিদিন অনেক ক্রেতাদের আনাগোনা ছিল আমাদের ব্যবসাও অনেক ভালো হতো।গত কয়েক বছর থেকে নিউ সুরমা আবাসিক হোটেলের অসামাজিক কার্যকলাপের জন্য দিন কে দিন মার্কেটে মানুষের আনাগুনা কমছে।লজ্জা সরমে অনেকে এই মার্কেট থেকে ব্যবসা ছেঁড়ে চলে গেছেন।জানা যায়,নিউ সুরমা হোটেলে খলিল ও আব্বাস ও ইজরত আলীর নিয়োগকারী দালাল মুজিবসহ কয়েকজন পথচারী দেখলে বলে উঠে আসেন মামা -ভালো মাল আছে লাগবে কি? এমন কু-রুচিপূর্ণ কথা শুনে অনেকে বিব্রত হয়।
কেউ বা তাদের কথায় সাড়াও দেয়।ব্যবসায়ীদের অভিযোগ যাচাইয়ে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র। নিউ সুরমা হোটেলের দালাল মুজিব প্রতিবেদককে দেখে এগিয়ে গিয়ে বলেন আমাদের হোটেলে ভালো মাল আছে লাগবে কি? প্রতিবেদক যেতে না চাইলে তিনি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বলেন দেখে যান ৬টি মাল আছে ভালো লাগবে।সম্প্রতি এই বিষয়ে বেশ কয়েকটি মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে থানা পুলিশ হোটেলে রেড দিয়ে সুরমা হোটের ম্যানেজার আব্বাসসহ রাগব বোয়াল রেখে চুনি পুটিকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করে।
প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব অপকর্ম চললেও প্রশাসন কেনো নীরব? এরকম প্রশ্নের জবাবে ম্যানেজার আব্বাস জানান, প্রশাসন আমাদের কী করবে, আমরাতো প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এসব ব্যবসা চালাচ্ছি। তাছাড়া একজন প্রভাবশালী চেয়ারম্যানও এখানকার একটি হোটেলের মালিক বলে তিনি জানান।
এব্যাপারে জানতে কোতোয়ালি মডেল থানা নাম্বারে কল দেওয়া হলে পাওয়া যায়নি
Leave a Reply