রংপুর প্রতিনিধিঃ-
গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে রংপুরের শ্রম আদালতে ফারুকুল ইসলাম নামে প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তা মামলা করেছেন। মামলায় শ্রম আইন লঙ্ঘন করে ৯ লাখ ৭৫ হাজার ১২৫ টাকা প্রদান না করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিচারক একেএম ফজলুল হকের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারক মামলাটি গ্রহণ করে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী শামীম আল মামুন মামলা করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন– গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নুরজাহান বেগম, নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, বোর্ড সদস্য ইমামুস সুলতান, রতন কুমার নাগ ও শাহাজাহান।
মামলার বাদী ফারুকুল ইসলামের বাসা গাইবান্ধা শহরের মুন্সিপাড়ায়। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর খামার ব্যবস্থাপক হিসেবে গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনে নিয়োগ পান। প্রশিক্ষণ গ্রহণ শেষে সিনিয়র খামার ব্যবস্থাপক হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। যা শ্রম আইনের ২ ধারা অনুযায়ী শ্রমিক হিসেবে গণ্য হবে। এরপর গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কর্মস্থলে চাকরি করেন। সর্বশেষ গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ ইউনিটে যোগদান করেন। ২০১৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর বিবাদীপক্ষ প্রতারণামূলকভাবে বীরগঞ্জ অঞ্চলের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে ঝাড়গতি ইউনিটে বদলি করে। বদলির সময় বাদীর ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা বকেয়া থাকে। পরে বাদী একটি সচল ইউনিটে বদলির জন্য আবেদন করেন। কিন্তু তার আবেদনে সাড়া না দিয়ে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের জন্য কঠোর চাপ প্রয়োগ করা হয়। ওই সময় বলা হয়, অবসর নিলে সকল বকেয়া পাওনা প্রদান করা হবে। তাদের কথায় বাদী অবসর নেন। পরে তারা বার বার আশ্বাস দিয়েও বকেয়া ৯ লাখ ৭৫ হাজার ১২৫ টাকা পরিশোধ করেনি। গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ তার মতো এক হাজার ২শ’ জন কর্মকর্তাকে চাপ প্রয়োগ করে অবসর গ্রহণে বাধ্য করলেও কাউকেই বকেয়া পরিশোধ করেনি।
শ্রম আদালতের বিচারক একেএম ফজলুল হক বাদীর অভিযোগ গ্রহণ করেন।
Leave a Reply