সুজন চক্রবর্তী, আসাম ( ভারত) প্রতিনিধিঃ-
আসামের হাইলাকান্দি জেলার অন্তগর্ত কাটলিছড়ার বটতলায় এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। প্রকাশ,স্বামীর বিষপানে মৃত্যু খবর পেয়ে স্ত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসতে হয়েছে হাইলাকান্দি জেলা পুলিশ সুপারকে ও। জানা যায়, স্কুল শিক্ষক যুবক দীপ মোদক (২৬) সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর ) বিষপান করলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিলচরে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর ) সকালে দীপ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ বিকেলে কাটলিছড়ায় পৌঁছলে দেখা দেয় উত্তেজনা পারদ। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, এ ঘটনায় তার স্ত্রী মৌসুমী কংস বনিক, শ্বশুর বিমল কংস বনিক ও শাশুড়ি শুক্লা কংস বনিক দায়ী। বটতলার শতাধিক জনতা বিকালে মৌসুমীর বাড়ি ঘেরাও করেন। উত্তেজিত জনতা বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে কাটলিছড়া থানার এসআই অভিজিৎ সিনহা পুলিশ বাহিনীকে নিয়ে ছুটে যায়। ক্রমে অবনতি হবার আশঙ্কা দেখে এসআই সিনহা হাইলাকান্দি জেলার এসপি লীনা দোলে, ডিএসপি হাইলাকান্দি সদর সুরজিৎ চৌধুরীকে অবগত করান। এদিকে কাটলিছড়া ২১ ব্যাটেলিয়ান ক্যাম্প থেকে জওয়ানরা ও ছুটে আসেন। এভাবে পুরো বাড়ি নিরাপত্তা ঘেরাও করা হয়। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর ) সন্ধ্যা ৬ টা ৩০ মিনিটে ডিএসপি চৌধুরী ঘটনাস্থলে এসে উত্তেজিত জনতাকে আশ্বস্ত করে বলেন দীপের মৃত্যুতে ন্যায় পাবে। তার মা প্রণতি মোদক, দেবা মোদক। ওই সময় দীপের স্ত্রী মৌসুমী কংস বনিক বিষ খেয়ে লুটিয়ে পড়েন। তাকে হাইলাকান্দি সিভিল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। অপরদিকে, মৌসুমীর মা, বাবা ও ভাইকে পুলিশ কাটলিছড়া থানায় নিয়ে যায়। মৌসুমীর বাবা বিমল ও ভাইকে কাটলিছড়া থানায় রাখা হয়েছে। পুলিশ পুরো ঘটনার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। চলতি বছরের ১৩ জুলাই দীর্ঘদিনের প্রেম থাকায় উভয় পরিবারের মধ্যে সামাজিক বিয়ে হয়েছিল। দীপ মোদক কাটাখাল কৃষ্ণরাম এমই স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। মাত্র ৩ মাস পূর্বে বিয়ে হওয়া দীপ মোদকের কেন আত্মঘাতী হলেন পুলিশী তদন্তে জানা যাবে। এনিয়ে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।