রাজীব মুন্সী রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ-
অনিয়ম দূর্নীতি ঘুষ বানিজ্য ছাড়া কোন কাজে সম্ভব নয় যে অফিসে ,অনিয়মে যেন নিয়মে পরিনত হয়েছে ,পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে। যেখানে ১৮৬ টাকার সরকারি কাজের জন্য গুনতে হয় ৫,০০০টাকা ,১১ হাজার টাকার সরকারি কাজের জন্য গুনতে হয় ৬০ হাজার টাকা ।
পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের,আব্দুল মোত্তালেব মিয়া ছাওলা ইউনিয়ন ভুমি অফিসে এসেছিলেন জমির খাজনা দিতে, সেখানে দেখা হয় ভুমি অফিসের অফিস সহকারী মোঃ খয়বর হোসেন এর সঙ্গে, জমি বিষয়ে কোন অভিজ্ঞতা না থাকায় মোত্তালেবকে ৫০০০ টাকা খাজনা দেওয়ার কথা বলেন তহসীলদার মুকুল হোসেন, তহসীলদারের কথা অনুযায়ী তাহাকে ৫০০০ টাকা জমা দিলে তিনি ১৮৬ টাকার রশিদ প্রদান করেন। পড়ালেখা না জানা মোত্তালেব হোসেন রশিদটি তাহার স্থানীয় শিক্ষিতজনদের দেখালে তাহারা জানান যে তাকে ধোকা দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মোত্তালেব আবারো ছাওলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গেলে মোত্তালেব কে চেনে না এবং তাহার সাথে কখনো দেখা হয়নি বলে জানান তহসীলদার মুকুল হোসেন। অন্য দিকে সেবা নিতে
ছাওলা ইউনিয়নের জিগাবাড়ির বাসিন্ধা বাবলু ও সোবাহান এসেছেন ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ,জমির খাজনা দিতে , জমিজমার বিষয়ে কোন ধরনের জানা না থাকায় স্বরনাপন হয় ছাওলা ইউনিয়ন ভূমি অফিস সহকারী তাদের নিকটত্তম আত্মীয় খয়বার হোসেনের কাছে , খয়বার হোসেন তাদের জমির সব কাজ করে দেওয়ার কথা বলে খাজনার জন্য দুই ধাপে গ্রহন করে ৬০,০০০টাকা ।কিন্তু সরকারী কোষাগারে ৩৪শত টাকা জমার রিসিপ দেয় । বিষয়টি জানাজানি হলে পরবতিতে তাহাকে মোট ১১ হাজার টাকার রিসিপ প্রদান করে । ভোক্তভোগি বাকী ৪৯ হাজার টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে কোন ধরনের সৎউত্তর দিতে পাড়েননি অফিসকতৃপক্ষ । সাংবাদিকদের কে হঠাৎ করে ছাওলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে মোতালেব, বাবলু, ,সোবাহানের মতো আরো অনেকেই ছুটে আসে ভূমি অফিস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে ।অভিযোগের বিষয়টি তহসীলদার মুকুল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের কে বলেন, কাগজপাতি তোলার জন্য অনেক সময় ডিসি অফিস পযন্ত যাইতে হয় ।সেখান খরচ লাগে তাই তারা বাড়তি টাকা নেয় বলে জানান । ৬০ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টি শিকার করলেও কোন খাতে জমা হইছে তার সঠিক উত্তর দিতে পাড়ে নাই তহসীলদার মুকুল হোসেন ও অফিস সহকারী খয়বর হোসেন।এ বিষয়ে পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হক সুমন বলেন,আমাদের কাছে ভুক্তভোগীকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন । তাহলে আমরা তদন্ত করে সত্যতা পেলে তাহার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো ।
প্রতিনিয়ত পীরগাছার প্রতিটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়ে নানা ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছে সাধারন মানুষ এই মুকুট বিহীন সম্রাট কতিপয় মুকুল হোসেনের কারনে আজ ভূমি অফিসে সরকারী সেবা থেকে বঞ্চিত জনগন তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না হওয়াতে আজ তারা প্রকাশে চালাচ্ছে ঘুষ ,বানিজ্য,
ছাওলা ইউনিয়ন ভূমি অফিস সহ পীরগাছার সকল ভূমি অফিসের দূর্নীতি নিয়ে আগামী পর্বে প্রকাশ করা হবে
Leave a Reply