সুজন চক্রবর্তী, আসাম ( ভারত) প্রতিনিধিঃ-
খাটের নিচে রাখা মায়ের মৃতদেহ। আর উপরে শুয়ে ক্রমাগত কেঁদে চলেছে একবছরের সন্তান। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর ) সকালে এমনই হাড়হিম করা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পান্ডুয়ায়। গলায় ফাঁস লাগিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করে খাটের তলায় ঢুকিয়ে বেপাত্তা স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর ) গভীর রাতে পান্ডুয়ার জায়ের দ্বারবাসিনী পঞ্চায়েতের কামতাই মালঞ্চ পাড়া এলাকায়। দুই বছর আগে ওই পাড়ার উরমিতা বাউল দাসের বিয়ে হয় বলাগড় থানার অন্তগর্ত ঝেরো গোপালপুরের সৌমেন বাউল দাসের সঙ্গে। দম্পতির একটি একবছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। মৃত গৃহবধূর বাবা উত্তম বাউল দাসের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে মেয়ের উপর অত্যাচার করত জামাই। নেশা করে এসে মারধর করত। এর আগে পেটে লাথি মেরে একবার সন্তান নষ্ট করে দিয়েছিল। ওই ঘটনার পর শ্বশুরবাড়িতে ফিরে না যাওয়ার কথা বলায় অশান্তি চলছিল। বাবার বাড়িতেই মেয়েকে নিয়ে থাকতেন উরমিতা। জামাই মাঝে মধ্যে আসত। বুধবার ( ২০ সেপ্টেম্বর ) পান্ডুয়ার গ্রামে মনসা পুজোর অনুষ্ঠানে আসে জামাই সৌমেন। অভিযোগ, ওই রাতেই বাড়িতে ঢুকে স্ত্রীকে ছাগল বাঁধার দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। তারপর মৃতদেহ খাটের তলায় ঢুকিয়ে দিয়ে দরজা বাইরে থেকে শিকল টেনে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পান্ডুয়া থানার পুলিশ। হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি ক্রাইম দেবী দয়াল কুন্ডু ও ওসি পান্ডুয়া প্রশান্ত ঘোষ ঘটনাস্থলে যান। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতারের জন্য তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে। এনিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।