হাবিবুর রহমান (হাবিব),বন্দর উপজেলা প্রতিনিধিঃ-
বন্দরে মিষ্টি খাওয়ার টাকা না পেয়ে সন্ত্রাসী হামলায় একই পরিবারের ৩ জনকে জখমের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ ব্যাপারে আহত দিনমজুর মাছুম মিয়া বাদী হয়ে বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ৬ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করে। এদিকে কামতাল তদন্ত কেন্দ্র পুলিশের উপ-পরিদর্শক আলী ইসলামসহ সঙ্গীয় র্ফোস মামলা দায়েরের ওই দিন দুপুরে বন্দর উপজেলার কামতাল ও ফুলহর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর (৩০) ও আমান উল্ল্যাহ (৪০) নামে দুই হামলাকারিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।
যার মামলা নং ৪১ (৯)২৩। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের উল্লেখিত মামলায় বুধবার বিকেলে আদালতে প্রেরণ করেছে। এর আগে মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল টায় বন্দর উপজেলার কামতাল এলাকায় ওই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে।
মামলার বাদী সূত্রে জানাগেছে, বন্দর উপজেলার কামতাল এলাকার মৃত আব্দুল হাই মিয়ার দিনমজুর ছেলে মাছুম মিয়া অনেক কষ্টের মাধ্যামে গত ২ বছর পূর্বে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার আঁটিগ্রামস্থ মাইছাপাড়া এলাকার মাজেদা বেগমের নিকট থেকে ৩ শতাংশ জায়গা ক্রয় করে। জায়গা ক্রয় করার পর থেকে একই উপজেলার ফুলহর এলাকার হবু মিয়ার ছেলে আমান উল্ল্যাহ কুপরামর্শে বিল্লাল হোসেন নিরিহ মাছুমের কাছ থেকে মিষ্টি খাওয়ার জন্য ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সকাল ৮টায় একই এলাকার মৃত জনব আলী ছেলে বিল্লাল হোসেনের কুপরামর্শে তার ছেলে স্থানীয় সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর নিরিহ মাছুমের বসত বাড়িতে অনাধিকার ভাবে প্রবেশ করে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
এ ঘটনায় দিনমজুর মাছুম মিয়া চাঁদা দিতে অপরগতা প্রকাশ করলে ওই সময় চাঁদাবাজ জাহাঙ্গীর ও তার পিতা বিল্লাল হোসেন এবং অপর সন্ত্রাসী আমান উল্ল্যাহসহ অজ্ঞাত নামা ৩/৪ জন সন্ত্রাসী ক্ষিপ্ত হয়ে লোহার রড ও এসএস পাইপ দিয়ে এলাপাতারী মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। আহত মাছুমের চিৎকারের শব্দ পেয়ে তার বড় বোন হাসি বেগম (৪৫) ও তার স্ত্রী রুমা বেগম (২৫) তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে ওই সময় স্থানীয় সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর ও তার পিতা বিল্লাল হোসেন ও আমান উল্ল্যাহ হাসি বেগমকে হত্যার উদ্দেশ্যে চাপাতি দিয়ে মাথাসহ বিভিন্ন স্থানে এলাপাথারী ভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ ছাড়াও গ্রেপ্তারকৃত সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর স্ত্রী লাভলী বেগম ও বিল্লাল হোসেনর স্ত্রী পিয়ারা বেগম এবং আমান উল্ল্যাহ ছেলে রবিউল গৃহবধূ রুমা বেগমকে এলোপাতারী ভাবে মারধর করে শ্লীতাহানীসহ নিলাফুলা জখম করে ১টি মোবাইল সেট ও ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়।
Leave a Reply