কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ-
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আন্তনগর এগারোসিন্ধুর এক্সপ্রেস ট্রেন ও একটি মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত ১৭ জনের মধ্যে আট জনের পরিচয় মিলেছে। তারা ট্রেনের যাত্রী ছিলেন। ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে তাদের লাশ শনাক্ত করেছেন স্বজনরা। এর মধ্যে এক পরিবারের চার জন রয়েছেন।
এই চার জন হলেন ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মো. সুজন (৪০), তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তার (৩০) এবং তাদের ভাতিজা মো. সজিব (১২) ও ইসমাইল (১০)। সুজনের ভাই মিজান এই চার জনের লাশ শনাক্ত করেছেন। বাকিরা হলেন ভৈরবের রাধানগর গ্রামের আফজাল হোসেন (২৩), নান্দাইল উপজেলার জোছনা আক্তার, কুলিয়ারচর উপজেলার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ও বাজিতপুর উপজেলার আদির উদ্দিন। ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে তাদের লাশ শনাক্ত করেন স্বজনরা।
এদিকে, ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লাশ শনাক্ত করতে ভিড় জমিয়েছেন হতাহতদের আত্মীয়-স্বজন। পরিচয় শনাক্ত সহজ করতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে বড় পর্দায় প্রদর্শন করা হচ্ছে নিহতদের ছবি।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইমরান আহমেদ বলেন, ‘নিহতদের মধ্যে ১৩ জনের লাশ আমাদের এখানে নিয়ে আসা হয়। ৭০ জনকে আহত অবস্থায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে তিন জন মারা গেছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য আহত ২১ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ১৬ জনের লাশ আমাদের মর্গে রাখা আছে। আট জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। স্বজনরা আসছেন, লাশ দেখানো হচ্ছে। শনাক্ত করলেও আপাতত হস্তান্তর করা হচ্ছে না। আইনি প্রক্রিয়া শেষে হস্তান্তর করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘নিহতদের পরিচয় সহজে শনাক্ত করার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের সামনে বড় পর্দায় নিহতদের ছবি প্রদর্শন করা হচ্ছে।’
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ফরহাদ চৌধুরী বলেন, ‘আট জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্যে এক পরিবারের চার জন রয়েছেন। বাকিদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’
সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা এগারোসিন্ধুর ট্রেনের সঙ্গে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। মালবাহী ট্রেনটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাচ্ছিল। ভৈরব রেলস্টেশনের আউটার পয়েন্টে ক্রসিংয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনের শেষ তিন বগিতে ধাক্কা দেয় মালবাহী ট্রেনটি। এতে যাত্রীবাহী ট্রেনের বগিগুলো উল্টে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে।