নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-
জোর যার মুল্লুক তার, এই কথার প্রমাণ দেওয়ার চেষ্টা করছেন হাইব্রিড নেতা মহিউদ্দিন মোল্লা।
বিএনপি থেকে ইস্তফা দিয়ে আওয়ামীলীগ এ যোগ দিয়েছেন, মোটা অংকের টাকা খরচ করে।
২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি দল ত্যাগ করেন।
পরে নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিকলীগের পদ ভাগিয়ে আনেন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে।
এ বিষয়ে জেলা কমিটি, ও জাতীয় কমিটির কেউ সদুত্তর দিতে পারে নি।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিল্পপতি বনে গেছেন, থেমে নেই মানুষের উপর অত্যাচার ও জোর জুলুম।
দলীয় নেতাদের নাম
ভাঙ্গিয়ে স্বার্থ হাসিল করে কামিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।
বানিয়েছেন আলীশান বাড়ী চড়েন আলীশান গাড়িতেও ।
৭ ফেব্রুয়ারী ২৩ ইং তারিখে ওয়ারেন্টের আসামী হয়ে হাজির হন সরকারী স্টিকার সম্বলিত উপ-সচিবের গাড়ি নিয়ে থানায়। আলোচনা হয় গণমাধ্যম ও প্রশাসনে।
জানা যায় চেক জালিয়াতির মামলায় ওয়ারেন্ট হয়েছিল তার নামে।
নাসিক ৩ নং ওয়ার্ডের মানুষের বহু জায়গা জমি দখল করে বিক্রি করার অভিযোগে ভাসছেন মহিউদ্দিন মোল্লা, বিচার পাচ্ছেনা ভুক্তভোগীরা। প্রতিবাদ করলে ভাড়াটিয়া গুন্ডা সন্ত্রাস দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে চুপ করিয়ে দেয়।
স্থানীয় অনেকে জায়গা জমি জোরপুর্বক দখল করে নিয়েছে, প্রতিবাদ করলে মিথ্যা মামলা, হামলা, হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কারিকারি।
মিলন বিবির একমাত্র সন্তান আলমগীর হোসেন পিতা: মৃত নেওয়াজ আলীর সম্পত্তি ভুয়া কাগজ বানিয়ে দখল দিতে গিয়েছিলো অতপর বিষয়টি নিয়ে দেন-দরবার করে কোন মিমাংসা না পেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন মিলন বিবির একমাত্র ওয়ারিশ পুত্র আলমগীর হোসেন।
মোকাদ্দমা নং-৪৪৬/২০২২ মামলাটি চলমান থাকাবস্থায় ২৩ অক্টোবর বেলা ( ১২ ঘটিকায় আনুমানিক) কমিশনার শাহ জালাল বাদলের কাধে ভর করে জায়গার দোকান পাট ও বাড়ি ঘর ভাংচুর করেন এবং জায়গাটি দখল নেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
নীরিহ আলমগীর হোসেন মহিউদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দেওয়ায় মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল।
কাজ না হওয়ায় পরে টাকা খরচ করে আলমগীরকে মাদক মামলা দিয়ে জেল খাটায় বলে অভিযোগ মিলন বিবির।
ভাংচুর সহ হুমকি ধমকি দিলে আলমগীর হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দ্বায়ের করেছেন।
অভিযোগ নং-৬০৪০ তদন্তকারী এসআই খালেকুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ওসি সিদ্দিরগঞ্জ আলমগীরকে থানায় ডেকে নিয়ে আগামী রবিবার উভয় পক্ষ নিয়ে বসার কথা বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
মহিউদ্দিন মোল্লা, নিজাম মোল্লা, পিতা- মৃত কাদের মোল্লা, সুমন মোল্লা, পিতা: আজিজ মোল্লা, ভাইসহ মহিউদ্দিনের পুত্র রাকিব মোল্লা ও হিজবুল্লাহ পিতা: আ: হক মুন্সি, আবির পিতা: আন্নাছ মুন্সি, জিসান পিতা: মজিবর, সর্ব সাং- সানারপাড় সিদ্ধিরগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ।
উক্ত ব্যাক্তিদ্বয় ও এলাকার আরো কিছু উশৃংখল পোলাপান উপস্থিত দাড়িয়ে থেকে বাহিরের ভাড়াটিয়া গুন্ডা পান্ডা দিয়ে ভাংচুর করতে দেখা যায়। কথা বলতে আসলে ও ক্যামেরা ওপেন করলে বকাবকি ও মারধর করেন উক্ত ব্যক্তিদ্বয়।
মামলা চলাকালীন সময়ে আইনকে অবজ্ঞা ও বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে এমন জগন্য অপরাধের সাহস দেখে হতবাক সুশিল সমাজ।
এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে আলমগীর হোসেনের বাড়ি ঘর দোকান দখল করার বিষয়টি দাড়িয়ে থেকে নির্বাক দেখেছেন জনগণ।
এস এ দাগ নং- ৬৯ আর এস দাগ নং- ১০৭ জমির পরিমান ০৩ (তিন) শতাংশ জমির উপর ১তলা দালানটি গুড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে, মুটোফোনে মহিউদ্দিন মোল্লা বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।
তবে মিলন বিবির ভাই পুত্র সজিবের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে এমনটাই জানি।
বরাবর, অস্বিকার করলেও তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মহিউদ্দিনের দায় সারার কোন সুযোগ নাই। কারণ, মহিউদ্দিন মোল্লা সজিবের কাছ থেকে ভুয়া দলিল করিয়ে নিয়ে দখলে এসেছে।
অথচ, রেকর্ডীয় মালিক নিজ নামীয় খতিয়ান (নং- ৫৯৭৮) মিলন বিবির মায়ের একমাত্র ওয়ারিশ হিসাবে সম্পত্তি নিজের নামে নামজারী ও জমা খারিজ (নং- ১৩৯২৪/১৩-১৪ তাং- ৩০/০৩/১৪ ইং) করে ভোগ দখল রয়েছে।
আমিরউদ্দিন, পিতা মৃত আলাবক্স, ওয়ারিশ বাবুর আলী মুন্সি, তার ওয়ারিশ হাজী মুহাম্মদ মহসিন, তার ওয়ারিশ আব্দুস সালাম, এর ওয়ারিশ সমর্ত্তবান বিবি দ্বয় রেকর্ডিয় সুত্রে ও প্রাপ্যাংশে মালিক ও ভোগ দখলকারীনী থাকাবস্থায় ওয়ারিশা মিলন বিবি, স্বামী নেওয়াজ আলী বর্তমানে কাগজে কলমে ও দখলে মালিক রয়েছে।
এমতাস্থায়, একমাত্র পুত্র আলমগীর হোসেনকে হেবা দলিল করে সম্পত্তি বুঝিয়ে দিয়েছেন মিলন বিবি।
বাদী আলমগীর হোসেনের পরিবার রাস্ট্রের সর্বোচ্চ মহলের কাছে বিচার দাবী করছেন।
পরিবারের লোকজন অসহায় হয়ে পড়েছেন, ভিটা বাড়ি গুড়িয়ে ভেঙ্গে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ হয়েছে সুষ্ঠ তদন্ত করে যথাযত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply