রাজীব মুন্সী রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ-
“ড্রেজার মেশিন দিয়ে তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো। প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন রমরমা ব্যবসা চললেও এ ব্যাপারে প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ”
উচ্চ আদালত ও সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে কড়া নির্দেশনার পরও থামছে না অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। কোনো ধরনের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই পীরগাছা উপজেলার তিস্তা নদী, ঘাঘট নদীসহ বিভিন্ন স্থানে ভূগর্ভস্থ থেকে শ্যালো মেশিন (রূপান্তরিত) বোমা মেশিনের সাহায্যে বালু উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী মহল। নদীর পাড়ে বালুর স্তুপ করার ফলে নষ্ট হচ্ছে পাড়ের ফসলি জমির উর্বরতা। এমনকি এর আগে তিস্তা সোলার লিমিটেডে যাবার বাধঁটিতে ট্রাক, ট্রাক্টর, এস্কেভেটর (ভেকু) ও মেশিন নদীর তীরে নেওয়ার জন্য নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধটিও নির্বিচারে কাটছে তারা। যার ফলে সাম্প্রতিক সময়ে সিকিমের বন্যার পানি প্রবেশ করায় ক্ষতিগ্রস্থ হয় বাধঁটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ থাকলেও পাশেয় সরকারের ২০০ মেঘাওয়াট তিস্তা সোলার লিমিটেড যেন চোখেয় পড়েনা কারো ।যার ফলে স্থাপনার আশ পাশেই বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসন ও পাউবো কর্মকর্তাদের নীরবতায় বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। তারা বলছেন এর আগেও তিস্তা নদীর বালু উত্তোলনের কথা একাধিকবার অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার মিলছে না।উল্টো পরে মিলছে নানা ধরনের হুমকি । সাম্প্রতিক সময়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ডিজেল ইঞ্জিনকে বোমা মেশিনে রূপান্তরিত করার ফলে বিকট শব্দে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। বিরক্ত হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দা, স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী এবং অসুস্থ মানুষজন। সরেজমিনে দেখা গেছে শনিবার (২৮ অক্টোবর) উপজেলার পূর্ব ছাওলা ইউনিয়নের তারা বাজার নদীর তীররক্ষা বাঁধ থেকে ১০০ মিটার দুরে তিস্তা নদীতে বোমা মেশিন বসিয়ে অবাধে চলছে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। আর নিষিদ্ধ ঘোষিত এ বোমা মেশিন চালানোর হুকুমদাতা ছাওলা ইউনিয়নের বিট পুলিশ কর্মকর্তা এস আই সামিউল ইসলাম । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, এভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করলে আমাদের অবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। এছাড়াও মেশিনের উচ্চমাত্রার শব্দে আমার বাচ্চার ঘুমে ব্যাঘাত ঘটছে। নদীর তীররক্ষা বাঁধের সংস্কারের কথা বলে বালু উত্তোলন করা হলেও তা না করে পাশের পরিত্যক্ত পুকুর ভরাটসহ আশপাশের বাড়ি ঘরেও দেওয়া হচ্ছে বালু। ওই মেশিনে মালিক শারাফাত আলী কে বালু উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি পুলিশের কাছে অনুমতি নিয়ে বালু উত্তোলন করছি আপনাদের সাংবাদিকের সমস্যা কোথায় আরচ্ছেন চা নাস্তা খাবার টাকা নিয়ে চলে যান ঐসব ভিডিও ছবি তোলে কি করবেন এটা পীরগাছা নয় তিস্তা নদী আর আমি অনুমতি নিয়েই কাজ করতেছি । পুলিশ কর্মকর্তার নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন পীরগাছা থানার ওসি না এস আই সামিউলের সাথে কথা হয়েছে । আমরা অনুমতির বিষটি নিশ্চিত করতে ঘটনা স্থলে থেকে এস আই সামিঊল কে ফোন দেই । প্রথমে তিনি বিষটি জানেনা বলেন এবং ঘটনা স্থলের পাশেয় আছে বলে আমাদের থাকতে বলেন । কিছুক্ষন পর আবার ঘটনাস্থলের পাশে তারাবাজারে এসে মেশিন মালিক কে ডেকে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য চলে সাংবাদিকদের ম্যানেজের চেষ্ঠা । বালু উত্তোলন করা স্পর্টে সরজমিন গিয়ে পোশাকে থেকে বন্ধ না করে উল্টো ছাফাই করেন মেশিন মালিকের পক্ষে । পরে সংবাদটি লেখার আগে তিনি মোঠফোনে জানান ওসি স্যার আমাকে বিষয়টি বলেছে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন জানায় এখানে পুলিশ কে টাকা না দিয়ে একদিন ও বালু তোলা দুরের কথা মেশিন চালু করা যায় না । কাজ প্রতি ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা দিতে হয়। এ বিষয়ে পীরগাছা থানার অফিসার ইনচাজ্ মাসুমুর রহমান মাসুম জানান । তিস্তা নদী থেকে বালু উত্তোলনের বিষয় তার জানা নেই তবে তাকে জানালে ব্যবস্থা গ্রহন করবে বলে জানান তিনি। আমরা এই বিষয়ে পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হক সুমন কে জানালে তিনি বলেন আমি বিষয় টি জানি না আপনি তথ্য আমাকে দেন আমি তদন্ত করে আইনের ব্যবস্থা নিব । আমরা আসা করি প্রসাশন দ্রুত সময়ের মধ্যে বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের মাধ্যমে শাস্তি প্রদান করবেন আর যারা প্রসাশনের উপর মহলের না ভাঙ্গিয়ে তাদের এইধরনের কাজে সহযোগিতা করছে তাদের বিরোদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করবে। সংবাদ টি প্রকাশ করলে প্রতিবেদকের ক্ষতি ও বিপদে ফেলা মর্মে হুমকি দেওয়া হচ্ছে ।
Leave a Reply