নিজস্ব প্রতিবেদক,মুন্সীগঞ্জঃ-
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে শহিদুল ইসলাম (৫৬) এর ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। জোরপূর্বক দোকানঘর উত্তোলনে বাঁধা দেওয়ায় শহিদুল ইসলামকে বেধড়ক মারপিট করে হামলাকারীরা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গাঁওদিয়া ইউনিয়নের পালগাঁও গ্রামে।
এ ঘটনায় চার জনের নাম উল্লেখ করে লৌহজং থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী শহিদুল ইসলাম।
আসামীরা হলেন, নুর আলম মৃধা (৫০) পিতা- মৃত বশির মৃধা, শামীম হাওলাদার (৪৩), সাইফুল হাওলাদার (৩৮), বিপুল হাওলাদার (৩০) সর্ব পিতা- শাহজাহান হাওলাদার, সর্ব সাং- পূর্ব পালগাও, থানা-লৌহজং, জেলা- মুন্সীগঞ্জ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপরোক্ত বিবাদীদের সহিত পূর্ব থেকে জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বাদি শহিদুল ইসলামের সাথে বিরোধ চলছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার (২৮ অক্টোবর) সকাল অনুমান ৬টার সময় উপরোক্ত সকল বিবাদীগন লৌহজং থানাধীন পূর্ব পালগাও সাকিনস্থ উপরোক্ত বিবাদীদের বসতবাড়ির সামনে পাকা রাস্তার উত্তর পার্শ্বে বাদি শহিদুল ইসলামের জায়গায় জোরপূর্বক দোকানঘর উত্তোলন করার সময় বাধা নিষেধ করিলে বিবাদীগন উত্তেজিত হইয়া বাদি শহিদুল ইসলামের উপর হামলা চালিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল ঘুসি, লাথি মারিয়া নীলা-ফুলা জখম করে। পরে তাঁর ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাদীগন প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।আশপাশের লোকজনের সহযোগিতায় লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎস গ্রহন করে কিছুটা সুস্থ্য হয়ে রবিবার (২৯ অক্টোবর) উক্ত বিষয়ে লৌহজং থানায় এসে সাধারন ডায়েরী করেন।
এ বিষয়ে অভিযোগ কারী শহিদুল ইসলাম বলেন, বিবাদী গন অনেক ক্ষমতাধর ও খারাপ প্রকৃতির লোক, তারা যে কোনো সময় আমার এবং আমার পরিবারের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে,পরিশেষে তিনি ন্যায় বিচারের দাবি জানান প্রশাসনের নিকট।
এ বিষয়ে লৌহজং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন,তদন্ত চলছে,তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply